জেএনইউ ক্যাম্পাস। — ফাইল চিত্র।
পড়ুয়াদের আন্দোলন দমনে এ বার কড়া পদক্ষেপ করলেন দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ) কর্তৃপক্ষ। সোমবার নির্দেশিকা জারি করে একগুচ্ছ নতুন নিয়মাবলী এবং তা ভাঙার শাস্তি ঘোষণা করা হয়েছে কর্ত়ৃপক্ষের তরফে।
নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও প্রশাসনিক বা শিক্ষা ভবনের ১০০ মিটারের মধ্যে ধর্না-বিক্ষোভ করলে সংশ্লিষ্ট পড়ুয়াদের ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। কোনও রকম ‘রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান’ তুললে দিতে হবে ১০ হাজার টাকা জরিমানা। ‘অপরাধের’ গুরুত্ব বুঝে দোষী পড়ুয়াকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে বলেও জেএনইউ-র চিফ প্রক্টরের দফতরের জারি করা নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ‘পঠনপাঠনের পরিবেশ এবং শৃঙ্খলা ফেরানোর’ উদ্দেশ্যে নয়া নির্দেশিকায় নবীনবরণ অনুষ্ঠান এবং ডিজের আয়োজনের উপরেও নানা বিধিনিষেধ এবং শাস্তির কথা রয়েছে নতুন নির্দেশিকায়। গত ২৪ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালন সমিতির বৈঠকের সিদ্ধান্ত মেনেই এই নির্দেশিকা বলে জানানো হয়েছে চিফ প্রক্টরের দফতরের তরফে।
নতুন নির্দেশিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া এবং শিক্ষকদের একাংশ। তাঁদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পড়ুয়াদের জন্য নির্দিষ্ট কোনও আচরণবিধি নেই। তা স্থির না-করেই নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে জরিমানা, বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ‘গণতান্ত্রিক পরিবেশের পরিপন্থী’ বলে তাঁদের অভিযোগ। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশেই এই পদক্ষেপ বলেই মনে করছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ‘বাম রাজনীতির আঁতুড়ঘর’ বলে পরিচিত জেএনইউ বারবার শাসক শিবিরের নিশানার মুখে পড়েছে। কখনও পড়ুয়াদের ‘অ্যান্টি-ন্যাশনাল’ (রাষ্ট্রবিরোধী) বলা হয়েছে। কখনও ‘টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং’। মোদী সরকারের নিযুক্ত উপাচার্য এম জগদীশ কুমার, শান্তিশ্রী ধুলিপুড়ি পণ্ডিতদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট আচররণের অভিযোগ উঠেছে একাধিক বার।