মাথায় আঘাত নিয়েও ক্যাম্পাসে ঐশী ঘোষ। ছবি: পিটিআই
মাথা ফেটেছে ঐশী ঘোষের। রক্তাক্ত অবস্থায় জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ)-এর ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ও তাঁর সঙ্গীরা যখন মুখ ঢাকা বাহিনীর হামলায় রক্তাক্ত, তার কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁদের বিরুদ্ধে চার মিনিটের ব্যবধানে দায়ের হয়েছিল দু’টি এফআইআর। স্বাভাবিক ভাবেই সেই এফআইআর-এর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রবিবার ক্যাম্পাসে হামলার আগের দিন সার্ভার রুমে ভাঙচুরের অভিযোগে ঐশী-সহ মোট ২০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ।
গত ৪ জানুয়ারি জেএনইউ ক্যাম্পাসের সার্ভার রুমে ভাঙচুর করা হয়। সেই ঘটনাতেই জেএনইউ ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ সহ মোট ২০ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ এফআইআর দায়ের করেছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর। এফআইআর-এ উল্লেখ করা হয়েছে, ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ করার সময় সার্ভার রুমে ভাঙচুর করে বামপন্থী সংগঠনের ছাত্রছাত্রীরা। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের গার্ডকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, ভাঙচুর হয়েছে আগের দিন। কিন্তু একটি এফআইআর দায়ের হয়েছে রবিবার রাত ৮টা ৩৯ মিনিটে এবং অন্যটি দায়ের হয়েছে তার ৪ মিনিট পর ৮টা ৪৩মিনিটে। যে সময় আসলে ক্যাম্পাসে মুখ ঢাকা বাহিনীর হামলার কিছুক্ষণ পরেই। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, এক দিন আগে ঘটনা ঘটলেও পরের দিন কেন অভিযোগ দায়ের হল? পুলিশের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতেই এফআইআর দায়ের হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, এফআইআর-এ নিরাপত্তারক্ষীকে হেনস্থা করার অভিযোগ যোগ হয়েছে ঐশী ঘোষ এবং আরও ৮ জনের বিরুদ্ধে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, ৩ জানুয়ারি আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা সার্ভার রুম বন্ধ করে দেন। তার পরের দিন শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মী সেই সার্ভার চালু করতে গেলে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। তাঁকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ।
রবিবার রাতে মুখে কাপড় বাঁধা এক দল যুবক হামলা চালায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। ব্যাপক ভাঙচুরের পাশাপাশি মারধর করা হয় ছাত্রছাত্রীদের। ঘটনায় আহত হন ঐশী ঘোষও। এছাড়া মোট ৩৪ জন ওই ঘটনায় আহত হয়েছেন। সেই ঘটনায় পুলিশ এফআইআর দায়ের করলেও এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। প্রশ্ন উঠেছে, এই হামলার ঘটনা লঘু করতেই কি আক্রান্ত ঐষী ঘোষদের বিরুদ্ধে পাল্টা এফআইআর দায়ের করা হল।