JNU

জেএনইউ-তদন্ত চলছে, তার আগেই এবিভিপিকে ক্লিনচিট কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বলে বসেন, ‘‘বিজেপি এবং তার সহযোগী সংগঠন হিংসা ঘটাতে পারে না।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২০ ১৪:৫০
Share:

গ্রাফিক: তিয়াসা দাস

জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (জেএনইউ)রবিবারের হামলার ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে পুলিশি তদন্ত। তার মধ্যেই ওই কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)-র কর্মী ও সমর্থকদের ক্লিনচিট দিয়ে বসলেন খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এ হেন মন্তব্যে জেএনইউ বিতর্কে নতুন রঙ লেগেছে।

Advertisement

মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বলে বসেন, ‘‘বিজেপি এবং তার সহযোগী সংগঠন হিংসা ঘটাতে পারে না।’’ পাশাপাশি, পুলিশি তদন্ত শেষে গোটা বিষয়টি পরিষ্কার হবে বলেও দাবি করেছেন তিনি। জেএনইউ-র ঘটনা নিয়ে পড়ুয়াদের মধ্যে ক্ষোভের আগুন জ্বলছে। ওই ঘটনায় এবিভিপি-র দিকেই অভিযোগ আঙুল তুলছেন তাঁরা। তার মধ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এমন মন্তব্যে নতুন বিতর্ক দানা বেঁধেছে। নিত্যানন্দের মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন জেএনইউ-র পড়ুয়াদের অনেকেই। তবে রবিবারের হিংসার জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অবশ্য দায় চাপিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টি (আপ)-র ঘাড়েই। কংগ্রেস ও আপের পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ‘ছিনিমিনি খেলা’ উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। একইসঙ্গে, কেউ পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক হলে তাঁকে বাধা না দেওয়ার জন্যও বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের কাছে আবেদনও জানিয়েছেন তিনি।

রবিবারের হিংসার ঘটনার পর দু’দিন কাটলেও ওই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি দিল্লি পুলিশ। ঘটনার সময় মুখোশধারীদের যে ছবি মিলেছে তা থেকে তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। সাহায্য নেওয়া হচ্ছে প্রযুক্তিরও। মঙ্গলবার ক্যাম্পাসে যান দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্র্যাঞ্চের একটি দলও। পড়ুয়া ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদের বয়ানও রেকর্ড করেন তাঁরা।

Advertisement

এদিকে, গত ৪ জানুয়ারি জেএনইউ ক্যাম্পাসের সার্ভার রুমে যে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছিল তাতে বাম ছাত্র নেত্রী ঐশী ঘোষ-সহ মোট ২০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। রবিবার, হামলার জেরে আহত হয়ে হাসপাতালে যাওয়ার সময় মাত্র চার মিনিটের ব্যবধানে ঐশী-সহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে দুটি এফআইআর করে দিল্লি পুলিশ। এফআইআর-এ উল্লেখ করা হয়েছে, ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ করার সময় সার্ভার রুমে ভাঙচুর করে বামপন্থী সংগঠনের ছাত্রছাত্রীরা। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের গার্ডকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement