National News

এবিভিপি-কে আড়ালের ছক? জেএনইউ হামলার দায় নিল ‘হিন্দু রক্ষা দল’

হিন্দু রক্ষা দলের পক্ষ থেকে পিঙ্কি চৌধুরীর একটি ভিডিয়ো টুইটারে শেয়ার করা হয়েছে। যদিও সংগঠনের টুইটার হ্যান্ডলে ওই ভিডিয়ো পোস্ট হয়নি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২০ ১৩:৩৮
Share:

‘হিন্দু রক্ষা দল’-এর নেতা পিঙ্কি চৌধুরী। ভিডিয়ো থেকে নেওয়া ছবি

জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ)-এ মুখোশধারীদের হামলায় আরও স্পষ্ট হল হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের যোগ। এ বার হামলার দায় স্বীকার করল ‘হিন্দু রক্ষা দল’ নামে একটি সংগঠন। পিঙ্কি চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি ওই সংগঠনের নেতা হিসেবে দাবি করে হামলার ‘সম্পূর্ণ দায়’ নিয়েছেন। দিল্লি পুলিশ অবশ্য ওই সংগঠনের দায় নেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। যদিও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন, বিজেপি-এবিভিপির অস্বস্তি কাটাতেই ওই সংগঠন হামলার দায় নিল।

Advertisement

রবিবার রাতে জেএনইউ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মুখে কাপড় বাঁধা এক দল যুবক ঢুকে তাণ্ডব চালায়। সবরমতি ছাত্রাবাসে ঢুকে লোহার রড, বাঁশ, লাঠি দিয়ে মারধর করা হয় পড়ুয়াদের। আহত হন অন্তত ৩৪ জন। ঘটনায় অভিযোগ উঠেছিল আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠন এবিভিপির বিরুদ্ধে। পুলিশ এফআইআর দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। কিন্তু তার মধ্যেই হিন্দু রক্ষা দল হামলার দায় স্বীকার করায় ঘটনায় নতুন মোড় নিল।

হিন্দু রক্ষা দলের পক্ষ থেকে পিঙ্কি চৌধুরীর একটি ভিডিয়ো টুইটারে শেয়ার করা হয়েছে। যদিও হিন্দু রক্ষা দলের টুইটার হ্যান্ডলে ওই ভিডিয়ো পোস্ট হয়নি। শিবাঙ্গী ঠাকুর নামে এক জন ওই ভিডিয়োটি শেয়ার করেছেন। ওই ভিডিয়োতে পিঙ্কি চৌধুরী বলেছেন, ‘‘দেশবিরোধী কার্যকলাপের আখড়া হয়ে উঠেছে জেএনইউ। এটা আমরা মেনে নিতে পারি না। আমরা এই হামলার সম্পূর্ণ দায় নিচ্ছি এবং বলতে চাই যে, হামলাকারীরা আমাদের সংগঠনের সদস্য ছিলেন।’’

Advertisement

অন্য দিকে ঘটনার তদন্তে নেমে হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে ‘ফেস রিকগনিশন’ প্রযুক্তি ব্যবহার করছে পুলিশ। কোনও ছবি বা ভিডিয়োতে কোনও ব্যক্তির মুখ দেখা গেলে এবং পরে অন্য কোনও ভিডিয়ো বা ছবিতে মুখ ঢাকা থাকলে প্রযুক্তির সাহায্যে দু’টি ছবির তুলনামুলক বিশ্লেষণ করে শনাক্ত বা চিহ্নিত করা যায় ওই ব্যক্তিকে। জেএনইউ হামলার একাধিক ভিডিয়ো এবং ছবি ধরা পড়েছে। সেগুলি যাচাই করে দেখছেন দিল্লি পুলিশের গোয়েন্দারা। পাশাপাশি ‘হিন্দু রক্ষা দল’-এর দাবি কতটা যুক্তিযুক্ত, তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement