Azam Khan

মা-ছেলে চুমু খেলে, সেটাও কি যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ? আজম খানের সমর্থনে পাল্টা প্রশ্ন জিতনরামের

বরাবরই বিতর্কিত মন্তব্যের  জন্য পরিচিত আজম খান। এ বছর নির্বাচনী প্রচারেও প্রতিদ্বন্দ্বী জয়াপ্রদাকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করে বসেন তিনি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

পটনা শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৯ ১৯:২০
Share:

আজম খানকে সমর্থন জিতনরামের। —ফাইল চিত্র।

সংসদে দাঁড়িয়ে লিঙ্গ বৈষম্যমূলক মন্তব্যের অভিযোগ আজম খানের বিরুদ্ধে। তা নিয়ে যখন উত্তাল দিল্লির রাজনৈতিক মহল, ঠিক সেইসময় তাঁর সমর্থনে এগিয়ে এলেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা হিন্দুস্তান আওয়ামি মোর্চা প্রধান নেতা জিতনরাম মাঁজি। তিনি জানিয়ে দিলেন, আজম খানের মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তাই ইস্তফা দেওয়ার প্রয়োজন নেই ওঁর।

Advertisement

শনিবার সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের মুখোমুখি হন জিতনরাম। সেখানে আজম খানের প্রসঙ্গ উঠলে সমালোচকদের উদ্দেশেই পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দেন তিনি। বলেন, ‘‘দেখা হলে ভাই-বোন একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন। চুমু খান। মাও ছেলেকে চুমু খান। সেটাও কি তাহলে যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ? আমার মতে, আজাম খানের মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তার জন্য ইস্তফা দেওয়ার প্রয়োজন নেই ওঁর। বরং ক্ষমা চেয়ে নিলেই পারেন।’’

বরাবরই বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য পরিচিত আজম খান। এ বছর নির্বাচনী প্রচারেও প্রতিদ্বন্দ্বী জয়াপ্রদাকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করে বসেন তিনি। তবে বৃহস্পতিবার সংসদে তিন তালাক বিল নিয়ে আলোচনার সময় ডেপুটি স্পিকার রমাদেবীর উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক বড় আকার ধারণ করেছে। এদিক ওদিক না তাকিয়ে তাড়াতাড়ি কথা শেষ করতে তাঁকে নির্দেশ দিয়েছিলেন রমাদেবী। জবাবে আজম খান বলে বসেন, ‘‘আমি তো আপনার দিকেই তাকিয়ে থাকতে চাই। আপনাকে আমার খুব ভাল লাগে। মনে হয় সারা ক্ষণ আপনার চোখে চোখ রেখে কথা বলি।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: কংগ্রেস নেতৃত্বে অস্পষ্টতা দলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, নতুন মুখ চান শশী তারুর​

আরও পড়ুন: ভিন জাতে বিয়ে! প্রাণনাশের হুমকির আরও অভিযোগ, বিপন্ন দম্পতিরা প্রশাসনের দ্বারস্থ​

তাঁর সেই মন্তব্য ঘিরে হূলস্থূল শুরু হয় লোকসভায়। রমাদেবীকে বোনের চোখে দেখেন বলে পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়েছিলেন আজম খান। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। বরং সকলে তাঁর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে সংসদের রেকর্ড থেকে তাঁর বক্তব্যের ওই অংশ বাদ দিতে হয়। তবে তাতেও বিতর্ক থামেনি। সোমবারের মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে তাঁকে। নইলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।

তবে কোনও খারাপ অভিপ্রায় নিয়ে তিনি ওই মন্তব্য করেননি এবং তাঁর কথার ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে বলে শুরু থেকেই দাবি করে আসছেন আজম খান। এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। আজম খান কোনও আপত্তিকর মন্তব্য করেননি বলে দাবি তাঁর। এ বার তাতেই সায় দিলেন জিতনরাম।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement