নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে ফের ভোটে লড়তে চলেছেন জিতনরাম মাঁঝি— ফাইল চিত্র।
বিহার বিধানসভা ভোটের আগে ধাক্কা খেল বিরোধীদের ‘মহাগঠবন্ধন’। বৃহস্পতিবার আরজেডি-কংগ্রেসের জোট ছাড়ল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম মাঁঝির দল ‘হিন্দুস্থানি আওয়াম মোর্চা’ (হাম)। আজ পটনায় দলের কর্মসমিতির বৈঠকের পরে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে। রাজনৈতিক সূত্রের খবর, এনডিএ জোটে ফিরতে চলেছেন জিতনরাম। হাম মুখপাত্র দানিশ রিজওয়ান আজ দলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে বলেন, ‘‘আমরা বার বার মহাগঠবন্ধনের সমন্বয় কমিটি গড়ার দাবি জানিয়েছিলাম। রাহুল গাঁধী আমাদের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি। এই পরিস্থিতিতে আমরা জোট ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।’’
বিহারে আগামী নভেম্বর মাসে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। কংগ্রেস সূত্রের খবর, আসন ভাগাভাগি নিয়ে মতবিরোধের জেরেই জোট ছাড়লেন জিতনরাম। বিরোধী মহাজোটে প্রাথমিক ভাবে স্থির হয়েছিল, বিহারের বিধানসভার ২৪৩টি আসনের মধ্যে আরজেডি ১৫২ এবং কংগ্রেস ৯১টি আসন ভাগে পাবে। কংগ্রেস তার কোটা থেকে ‘হাম’কে আসন ছাড়বে। কিন্তু জিতনরাম এই ব্যবস্থা মানতে চাননি । তাই ফের নীতীশ কুমারের নেতৃত্বেই বিধানসভা ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন তিনি।
২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি নরেন্দ্র মোদীর নাম প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করার পর এনডিএ জোট থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল নীতীশের দল জেডি(ইউ)। লোকসভা ভোটে একলা লড়ে বিহারে জেডি(ইউ)-র ভরাডুবির পরে মুখ্যমন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেন নীতীশ। মুখ্যমন্ত্রী করেন তাঁর অনুগামী দলিত নেতা জিতনরামকে। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই দু’জনের সম্পর্কের অবনতি হয়। জিতনরামকে সরিয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রী হন নীতীশ। জিতনরাম জেডি(ইউ) ছেড়ে ‘হাম’ গড়ে এনডিএ জোটে সামিল হন। ২০১৫-র বিধানসভা ভোটে তিনি বিজেপির সমর্থনে বিধায়ক হলেও ‘হাম’-এর অন্য কোনও প্রার্থী জিততে পারেননি। অন্যদিকে, আরজেডি-কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ে ফের মুখ্যমন্ত্রী হন নীতীশ।
আরও পড়ুন: এক তৃতীয়াংশ দিল্লিবাসীর দেহে করোনা অ্যান্টিবডি! দাবি সেরো-সমীক্ষায়
২০১৭ সালে নীতীশ ফের বিজেপির হাত ধরার পরে এনডিএ জোটের অন্দরে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছিলেন জিতনরাম। নীতীশ তাঁকে মন্ত্রী করেননি। এর পরে গত বছর লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেস, আরজেডি, রাষ্ট্রীয় লোক সমতা পার্টি (আরএসএলপি)-র মহাগঠবন্ধনে সামিল হন তিনি। কিন্তু মহাজোটের শরিক হিসেবে তিনটি আসনে লড়ে একটিতেও হাম জিততে পারেনি। জিতনরাম নিজেও গয়া লোকসভা কেন্দ্রে হেরে গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: অ্যাটাচমেন্ট পাঠানো যাচ্ছে না, সকাল থেকে জি-মেল নিয়ে সমস্যা বিশ্ব জুড়ে