ঝাড়খণ্ড হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
বেআইনি ভাবে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে চার মাস জেলে রেখেছিল ঝাড়খণ্ড পুলিশ। এই অভিযোগে মামলা হয় আদালতে। দু’পক্ষের সওয়াল জবাবের পর হেমন্ত সোরেন সরকারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দিল ঝাড়খণ্ড হাই কোর্ট। আদালতের নির্দেশ, ওই ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাঁচ লক্ষ টাকা দিতে হবে সরকারকে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে গ্রেফতার হন অভিযুক্ত। ধৃতের বিরুদ্ধে খুন এবং ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়। চার মাস জেল হেফাজতে ছিলেন তিনি। ছাড়া পেয়ে হাই কোর্টে মামলা করেন ওই ব্যক্তি। অভিযোগ করেন, তাঁকে মিথ্যা অভিযোগে কারাবাস করিয়েছে পুলিশ। এ জন্য তাঁকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের আবেদন করেন। মামলাকারীর আইনজীবী আদালতে জানান, তাঁর মক্কেলকে খুন এবং ধর্ষণের কথা স্বীকার করতে চাপ দিচ্ছে পুলিশ। সে সময় তাঁকে মারধরও করা হয়েছে। যে তরুণীকে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে খুনের অভিযোগ করা হয়, তাঁকে পরে জীবন্ত উদ্ধার করা হয়। ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। এর পরেও তাঁর মক্কেলের উপর অত্যাচার করেছে পুলিশ।
মামলার শুনানিতে পুলিশের তরফে স্বীকার করে নেওয়া হয় যে তাদের ভুলে ওই ব্যক্তিকে জেল খাটতে হয়েছে। পুলিশের চূড়ান্ত রিপোর্টে বলা হয়, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রমাণ মেলেনি। পুলিশের কিছু ভুল হয়েছে। অভিযুক্তকে পরে ছেড়েও দেওয়া হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে ঝাড়খণ্ড হাই কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয়কুমার দ্বিবেদীর পর্যবেক্ষণ, মামলাকারী ক্ষতিপূরণের যা দাবি করেছেন, তার যুক্তি আছে। আদালত বলে, ‘‘আবেদনকারীর স্বাধীনতা এবং মর্যাদা, তাঁর মানবাধিকার হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। যে অভিযোগে তিনি গ্রেফতার হয়েছেন, তাতে তাঁর সামাজিক সম্মান নষ্ট হয়েছে।’’ এর পর ক্ষতিপূরণ হিসেবে সরকারকে পাঁচ লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।