প্রতীকী ছবি।
ঝাড়খণ্ডের ডুমরিজোড়ে একটি পরিত্যক্ত কয়লা খনিতে ধস নেমে দুর্ঘটনার কবলে পড়লেন অনেকে। ওই পরিত্যক্ত কয়লা খলিতে অবৈধ ভাবে খননের কাজ চলছিল বলে অভিযোগ। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, খনির ভিতরে ছিলেন অন্তত ১২ জন। তাঁরা প্রত্যেকেই আটকে পড়েছেন বলে আশঙ্কা। যদিও স্থানীয় সূত্রে দবি, আরও বেশি শ্রমিকের আটকে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে ভিতরে।
এর আগেও একাধিক বার এমন ঘটনা ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের খনি এলাকায়। তবে বৃহস্পতিবারের ঘটনাটি চিরকুন্ডা থানা ডুমরিজোড়ের। ওই এলাকার খনিসংলগ্ন রাস্তা প্রায় ১৫-২০ ফুট ব্যাসার্ধ জুড়ে সম্পূর্ণ ধসে গিয়েছে। এলাকা পুরোটাই জলমগ্ন। ফলে উদ্ধারকারীরা পৌঁছলেও উদ্ধারকার্য ব্যাহত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকালে এই ধস নামার খবরটি প্রকাশ্যে আসে। জানা যায় খনি সংলগ্ন রাস্তা নীচে ধসে পড়েছে। ডুমরিজোড়ের ওই রাস্তাটি অনেকগুলি গ্রামকে জোড়ে। তাই ধসের খবরে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন এলাকার মানুষ। খবর পেয়ে চিরকুণ্ডা থানার আধিকারিক জিতেন্দ্র কুমার পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তদন্ত শুরু করেন। তিনি জানান, পুলিশ সব দিক থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। স্থানীয় মানুষ দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে অবৈধ খননের কথাই জানিয়েছেন। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, অবৈধ খননের কারণেই ঘটনাটি ঘটেছে কি না তা জানার চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, এর আগেও এই ডুমরিজোড়ে কয়লাখনিতে ধস নামার ঘটনা ঘটেছে। একই জায়গায় বার বার ধস নামার ঘটনায় এলাকার সাধারণ বাসিন্দাদের চিন্তিত করে তুলেছে।