ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন।
ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় শক্তিপ্রদর্শনে বাজিমাত করলেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। সোমবার আস্থা ভোটে জয়ী হলেন সোরেন। বিধানসভা থেকে ‘ওয়াক আউট’ করে বিজেপি। পদ্মশিবিরকে নিশানা করে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘আমরা শুনেছি লোকে জামাকাপড় কেনে, রেশন কেনে। বিজেপি শুধু মাত্র বিধায়ক কেনে।’’
সম্প্রতি খনি লিজ ‘দুর্নীতি’তে নাম জড়িয়েছে হেমন্তের। এই মামলায় সোরেনকে দোষী সাব্যস্ত করে তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের দাবি জানিয়েছে বিজেপি। বিধায়ক পদ বাতিল হলে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি হারাতে পারেন সোরেন। এ নিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্ত ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল রমেশ ব্যাসকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। সেই চিঠি এখনও রাজ্যপালের কাছে খামবন্দি হয়ে রয়েছে। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী পদে সোরেন থাকবেন কি না, তা ওই চিঠি খুললেই স্পষ্ট হবে। কিন্তু সাত দিন পার হলেও ওই খামবন্দি চিঠি রাজ্যপাল খোলেননি, এ নিয়ে চক্রান্তের অভিযোগ করেছেন সোরেনরা। তাঁদের অভিযোগ,জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোট সরকার ফেলার চক্রান্ত করছে বিজেপি। এই অভিযোগের আবহেই সোমবার ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় আস্থাভোট করা হয়।
আস্থাভোটের আগে বিজেপিকে আক্রমণ করে সোরেন আরও বলেছেন, ‘‘বিরোধীরা গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। বিধায়ক কেনাবেচার খেলায় মেতে রয়েছে বিজেপি...বিধানসভায় আমরা শক্তিপ্রদর্শন করব।’’ বস্তুত, বিজেপি যাতে তাঁদের দলের বিধায়কদের ভাঙাতে না পারে, সে কারণে ক’দিন আগেই দলের বিধায়কদের ছত্তীসগড়ে পাঠান সোরেন। আস্থাভোটে অংশ নেওয়ার জন্য রবিবার জোট সরকারের বিধায়কদের কংগ্রেস শাসিত ছত্তীসগড়ের রিসর্ট থেকে রাঁচীতে আনা হয়। রাতে রাজ্য সরকারের অতিথিশালায় রাত্রিযাপন করেন শাসকদলের বিধায়করা। সোমবার সকালে সেখান থেকে তাঁদের সরাসরি বিধানসভায় নিয়ে যাওয়া হয়।
বিজেপিকে কটাক্ষ করে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘‘আমাকে সরাতে ষড়যন্ত্রের জাল বিছিয়েছে বিজেপি। তবে ওরা নিজেরাই সেই জালে আটকে পড়বে।’’ প্রসঙ্গত, ৮১ আসনের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় শাসক জোটের বিধায়ক সংখ্যা ৪৯। একক বৃহত্তম দল হিসাবে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) হাতে রয়েছে ৩০ জন বিধায়ক। সে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ২৬।