রঘুবর দাস। ফাইল চিত্র।
জেলায় হানা নয়, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস এ বার রাঁচীর পুর-ওয়ার্ডে হানা দিলেন। আগাম খবর না দিয়ে আজ সকালে তিনি রাঁচী পুরসভার একটি ওয়ার্ডে পৌঁছে যান। নানা জায়গায় আবর্জনার স্তূপ, জল উপচানো নর্দমা, ভাঙাচোরা রাস্তা দেখেই মুখ্যমন্ত্রীর মেজাজ গরম হয়ে যায়। খবর পেয়ে দৌড়ে আসা পুর অফিসার থেকে কাউন্সিলর, মেয়র যেমন ধমক খান, তেমনই ধমক খান এলাকাবাসীরাও। রাঁচী পুরসভাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এ বার এমন হানা তিনি যখন তখন, যে কোনও ওয়ার্ডেই দিতে পারেন।
আজ সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সচিবালয়, প্রোজেক্ট ভবনে যাওয়ার পথে রঘুবর ঢুঁ মারেন ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে। রাঁচীর লোয়ার বাজার এই ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে পড়ে। মুখ্যমন্ত্রীর আগাম আগমন সংবাদ না থাকায় তৈরি ছিলেন না ওয়ার্ড কাউন্সিলর। এলাকা পরিষ্কার করে রাখতে পারেননি তিনি। খবর পেয়ে প্রায় দৌড়তে দৌড়তে সেখানে উপস্থিত হন রাঁচীর মেয়র আশা লকড়া, অতিরিক্ত পুর কমিশনার দিব্যাংশু ঝা। লোয়ার বাজার এলাকার বিভিন্ন জায়গায় জমে থাকা আবর্জনা দেখে মুখ্যমন্ত্রী ধমক দেন দিব্যাংশুবাবুকে।
মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে এগিয়ে আসেন ওয়ার্ডের মহিলা বাসিন্দারাও। শৌচালয় তৈরির টাকা সঠিক সময়ে না মেলার অভিযোগ সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে করতে পেরে অনেকেই খুব খুশি। তবে মুখ্যমন্ত্রী সাধারণ এলাকাবাসীদেরও ছেড়ে কথা বলেননি। সব কাজ যে পুরসভা করবে না, এলাকা পরিষ্কার রাখার দায়দায়িত্ব যে তাঁদেরও সে কথাও মানুষকে মনে করিয়ে দেন তিনি। ঘন্টাখানেক ওয়ার্ড পরিদর্শন করে ফিরে যাওয়ার সময় পুরসভার আধিকারিকদের বলেন, ‘‘১৮ নম্বর ওয়ার্ডে আপনারা টেনেটুনে পাশ করেছেন। আবার হঠাৎই আসব।’’ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে সাসপেন্ড করার হুমকিও দেন তিনি।
আগে মুখ্যমন্ত্রীর জনসংযোগ অনুষ্ঠান ‘সিধি বাত’-এ একই ভাবে কাজে গাফিলতির অভিযোগে তুলোধনা করেন পুলিশ কর্তাদের। যে অপরাধের সমাধান কয়েক মাসে হয়নি, রঘুবরের ধমকে তার সমাধান করে অভিযুক্ত নারী-পাচারকারীকে সাত দিনের মধ্যে হাজতে পুরে ফেলে পুলিশ। সরিয়ে দেওয়া হয় এক পুলিশ সুপারকেও। ফলে এখন কাঁপুনি ধরেছে রাঁচীর পুরকর্তাদের মধ্যে।