বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। —ফাইল চিত্র।
ঝাড়খণ্ড সরকারকে চাপে ফেলতে বিজেপি জনস্বার্থ মামলার ‘গ্যাং’ তৈরি করেছে। ইউপিএ সরকারকে সমস্যায় ফেলতে যাবতীয় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে গেরুয়া শিবির। সোমবার একটি রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে এমনই মন্তব্য করতে শোনা গেল ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে। তাঁর কথায়, ‘‘ঝাড়খণ্ডকে প্রথম থেকে শুধু লুটই করে গিয়েছে বিজেপি।’’
হেমন্তের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী হয়েও খনির ইজারা নেওয়ার অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। বিরোধীদের তরফে তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ করার দাবি ওঠে। এর পর নির্বাচন কমিশন এ নিয়ে রাজ্যপাল রমেশ বইসকে একটি চিঠি পাঠায়। যদিও কমিশনের ওই চিঠি প্রকাশ্যে আনেননি ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল।
এর পর সোমবারই অবৈধ খনি মামলায় স্বস্তি পেয়েছেন হেমন্ত। সংশ্লিষ্ট মামলায় ঝাড়খণ্ড হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আবেদন গ্রহণ করেছে শীর্ষ আদালত। এর পর সোমবারই একটি সভা করেন হেমন্ত। সেখান থেকে তিনি বলেন, ‘‘গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত সরকারকে যেনতেন প্রকারে চাপে ফেলতে চাইছে বিজেপি। আয়কর দফতর, ইডির মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে খারাপ ভাবে ব্যবহার করছে কেন্দ্রের শাসক দল।’’ সোরেনের সংযুক্তি, ‘‘২০ বছর ঝাড়খণ্ডকে শুধু শোষণ করেছে বিজেপি। প্রান্তিক মানুষ, গরিব, কৃষক, যুবক— কারও জন্য কিচ্ছু করেনি ওরা।”
এর পর দুর্নীতি প্রসঙ্গ টেনে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বিজেপি তো এ-ও দাবি করছে যে, আমাদের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মধু কোড়া ৪০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতিতে অভিযুক্ত। কিন্তু ক’টাকা উদ্ধার করতে পারল বিজেপি?’’ অন্য দিকে, সোরেনের এই বক্তব্য প্রসঙ্গে ঝাড়খণ্ডের বিজেপি নেতৃত্বের কটাক্ষ, ‘‘এ ভাবে নিজের ঘাড় থেকে দুর্নীতির বোঝা সহজে নামাতে পারবেন না সোরেন।’’