(বাঁ দিক থেকে ) হেমন্ত সোরেন এবং নরেন্দ্র মোদী। ছবি: এক্স হ্যান্ডল থেকে নেওয়া।
দিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। জেল থেকে জামিনে মুক্তির পরে গত ৪ জুলাই তৃতীয় বার ঝাড়খণ্ডের জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন হেমন্ত। তার পরে সোমবারই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর প্রথম সাক্ষাৎ হল।
ঝাড়খণ্ডে জমি দুর্নীতি সংক্রান্ত বেআইনি আর্থিক লেনদেনের তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) গত সপ্তাহেই হেমন্তের জামিন বাতিল করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মোদীর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ ঘিরে তৈরি হয়েছে‘ রাজনৈতিক জল্পনা’। যদিও জেএমএম (ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা) প্রতিষ্ঠাতা শিবু সোরেনের পুত্র হেমন্ত সোমবার এক্স হ্যান্ডলে মোদীর সঙ্গে তাঁর ছবি পোস্ট করে লিখেছেন— ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ হল’।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ জানুয়ারি ঝাড়খণ্ডে জমি দুর্নীতি সংক্রান্ত বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মামলায় জেএমএম নেতা হেমন্তকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। গ্রেফতারির আগে মুখ্যমন্ত্রিত্বে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। এর পরে গত ১৩ মে ‘বেআইনি আর্থিক লেনদেন প্রতিরোধ আইন’ (পিএমএলএ) সংক্রান্ত রাঁচীর বিশেষ আদালত হেমন্তের জামিনের আবেদন খারিজ করেছিল। তার পরে ঝাড়খণ্ড হাই কোর্টে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি।
অবশেষে গত ২৮ জুন হাই কোর্টে জামিনের আবেদন মঞ্জুর হওয়ায় প্রায় পাঁচ মাস পরে জামিনে মুক্তি পান জেলবন্দি হেমন্ত। প্রসঙ্গত, রাঁচীতে ৮.৮৬ একর জমির মালিকানা সংক্রান্ত টাকা তছরুপের মামলায় অভিযুক্ত গ্রেফতার হওয়ার পরে তাঁর জায়গায় ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন চম্পই সোরেন। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরে গত ৪ জুলাই জেএমএম নেতা হেমন্ত একা মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন। তার আগে ৩ জুলাই সন্ধ্যায় রাজ্যপালের কাছে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন চম্পই। গত সপ্তাহে ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় আস্থাভোটে হেমন্তের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার জয়ী হওয়ার পরে সম্প্রসারিত হয় মন্ত্রিসভা।