মহিলা কমিশন ঝাড়়খণ্ড পুলিশকে তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে আবেদন জানিয়েছে। ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
পরিচারিকাকে গরম তাওয়া দিয়ে মার, তার পর মেঝেতে পড়ে থাকা প্রস্রাব চাটানোর গুরুতর অভিযোগ ঝাড়খণ্ডের বিজেপি নেত্রী সীমা পাত্রের বিরুদ্ধে। ঘটনার কথা জানতে পেরে পদক্ষেপ করছে মহিলা কমিশন। দল থেকে সীমাকে সাসপেন্ড করেছে বিজেপি।
ঝাড়খণ্ডে বিজেপির মহিলা মোর্চার জাতীয় কার্যকরী কমিটির অন্যতম সদস্য সীমার স্বামী মহেশ্বর এক জন অবসরপ্রাপ্ত আইএএস আধিকারিক। সীমা নিজে মোদী সরকারের ‘বেটি বচাও, বেটি পড়াও’ অভিযানের এক জন আহ্বায়ক। মহিলা কমিশনের তরফ থেকে ঝাড়খণ্ড পুলিশকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজন হলে সীমাকে গ্রেফতার করার আবেদন জানানো হয়েছে।
‘দলিত ভয়েস’ নামে একটি টুইটার হ্যান্ডল থেকে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করা হয়। সেখানে এক জন অসুস্থ আদিবাসী মহিলাকে দেখা যাচ্ছে। তিনি কিছু বলার চেষ্টা করছেন। তাঁর দাঁত ভাঙা এবং শরীরে একাধিক ক্ষতও দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। দলিত ভয়েসের দাবি, সীমার বাড়িতে ওই আদিবাসী মহিলা আট বছর ধরে নির্যাতনের শিকার। তাঁকে গরম তাওয়া এবং লোহার রড দিয়ে মারধর করা হত। অভিযোগ, জোর করে মেঝেতে পড়ে থাকা প্রস্রাবও তাঁকে দিয়ে চাটাতেন সীমা।
সূত্রের খবর, সীমার বাড়ির গৃহ পরিচারিকাও ঝাড়়খণ্ডেরই বাসিন্দা। গত ১০ বছর ধরে তিনি ওই বাড়িতে কাজ করছেন।