এখনই আসন ভাগাভাগি চায় জেডি(ইউ)।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে আগেভাগে আসন ভাগাভাগি সেরে রাখতে বিজেপি’র উপর চাপ তৈরি করল জেডি (ইউ)। তবে বিগত লোকসভা নির্বাচনে তাদের ভরাডুবিকে এক্ষেত্রে মাপকাঠি করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে নীতীশ কুমারের দল। তাদের মতে, ২০১৪ আর এখনকার পরিস্থিতি এক নয়।
মনে করা হচ্ছে, এ বক্তব্যের ফলে বিজেপি ও জেডি(ইউ)-এর মধ্যে নতুন সংঘাতের জমি তৈরি হল। বিহারে লোকসভা আসন মোট ৪০টি। গত নির্বাচনে সেই ৪০টির মধ্যে এনডিএ পেয়েছিল ৩১টি আসন, যার মধ্যে বিজেপি একাই পায় ২২টি আসন। সে নির্বাচনে এনডিএ-র জোটসঙ্গী ছিল না জেডি(ইউ)। তারা পেয়েছিল পেয়েছিল মাত্র ২টি আসন। পরে অবশ্য এনডিএ-তে যোগ দেয় জেডি(ইউ)। এ বার লেকসভা আসনগুলিতে এনডিএ শরিকদের কে ক’টা আসনে পাবে ,তা নিয়ে ইতিমধ্যেই নিজেদের মধ্যে দর কষাকষি শুরু হয়ে গিয়েছে।
জেডিইউ জানিয়েছে, ২০১৯ সালের লোকসভা এবং ২০২০ সালে বিহার বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে আগে থেকেই আসন বন্টন চূড়ান্ত করা হোক। এর আগে বিহারে ৪০টি আসনের মধ্যে ২৫টি দাবি করেছিল জেডি(ইউ)। শুক্রবার সে রকম কোনো দাবি জানানো না হলেও, সম্প্রতি হয়ে যাওয়া একের পর এক উপনির্বাচনের কথা মনে করিয়ে দিয়ে বিজেপিকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি জেডি(ইউ)। উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর এবং ফুলপুর উপনির্বাচনে জোরদার ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। এর পরেও ভোট হয়েছে দেশের মোট ১৫টি লোকসভা ও বিধানসভা কেন্দ্রে। কিন্তু সেই উপনির্বাচনে বিজেপির দখলে এসেছে মাত্র দু’টি আসন।
আরও পড়ুন: স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পাঁচ সদস্যকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ ঝাড়খণ্ডে
আরও পড়ুন: গুলিযুদ্ধে নিহত জম্মু-কাশ্মীরের আইএস প্রধান-সহ চার জঙ্গি
জেডি(ইউ)-এর সাফ কথা, ২০১৪ এবং ২০১৯-এর পরিস্থিতি আলাদা। তাই বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আগে থেকেই আসন বন্টন করে ফেলা হোক। জানা গিয়েছে, জোটের বড় শরিক বিজেপি-র আচরণে খুশি নয় আরএলএসপি এবং রামবিলাস পাসোয়ানের এলজেপি। ফলে বিহারের এনডিএ-র অন্দরমহল এখন কিছুটা ছন্নছাড়া। জেডি(ইউ) বলছে, ‘‘আগের মতো অবস্থা নেই। সাধারণ মানুষের মনোভাব যে বদলাচ্ছে, তা সবারই বোঝা উচিত।’’ খোঁচাটা তাদের বিরুদ্ধে জেনেও পাল্টা বক্তব্যে জটিলতা এখনই বাড়াতে চাইছে না বিজেপি। তারা জল মেপেই এগোতে চায়।