জওয়ানের মৃত্যুতে সংঘর্ষ সেনা ইউনিটে, বিদ্রোহের খবর অস্বীকার সেনার

১০ কিলোমিটার দৌড়নোর সময় এক সেনা জওয়ানের মৃত্যু হওয়ায় উত্তর-পূর্ব ভারতে সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি সেনা ইউনিট অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে। কয়েকজন জওয়ানের সঙ্গে সেনা অফিসারদের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০১৬ ২০:৩৯
Share:

১০ কিলোমিটার দৌড়নোর সময় এক সেনা জওয়ানের মৃত্যু হওয়ায় উত্তর-পূর্ব ভারতে সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি সেনা ইউনিট অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে। কয়েকজন জওয়ানের সঙ্গে সেনা অফিসারদের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। ঘটনার পর চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের ওই এলাকায়। সেনার ওই ইউনিটে বিদ্রোহ হয়েছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর ছড়ায়। কিন্তু সেনা সূত্রে সে খবর নস্যাৎ করা হয়েছে।

Advertisement

যে সেনা জওয়ানের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এই গোলমাল, ১০ কিলোমিটার দৌড়ে অংশ নিয়ে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন বলে সূত্রের খবর। তার পরই ৪-৫ জন জওয়ান ক্ষোভে ফেটে পড়েন। বচসা সংঘর্ষের রূপ নেয়। এক ক্যাপ্টেন ও কয়েকজন অফিসারের সঙ্গে ওই ৪-৫ জন জওয়ানের সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে বেশ কয়েক জন জখম হন। তাঁদের মধ্যে ওই ক্যাপ্টেনের আঘাতই সবচেয়ে গুরুতর। মাথায় গভীর ক্ষত নিয়ে তিনি চিকিৎসাধীন বলে জানা গিয়েছে।

ক্যাপ্টেন পদমর্যাদার ওই অফিসারের সঙ্গে এক জওয়ানের তীব্র বচসার জেরেই ঘটনার সূত্রপাত বলে খবর। সিনিয়রের সঙ্গে বচসার শাস্তি হিসেবে জওয়ানদের ১০ কিলোমিটার দৌড়ে আসার নির্দেশ দেওয়া হয় বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।

Advertisement

সেনা সূত্রে অবশ্য কোনও শাস্তির কথা অস্বীকার করা হয়েছে। সেনার তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, রুটিন ড্রিলের অঙ্গ হিসেবেই ১০ কিলোমিটার দৌড় চলছিল। এটি কোনও নতুন বিষয় নয়। যে জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে, তাঁর আগে থেকেই বুকে ব্যাথা ছিল। কিন্তু দৌড় শুরুর আগে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে সেনা ইউনিটের চিকিৎসক জানান, ওই জওয়ান সুস্থ। সেই কারণেই তাঁকে রুটিন ড্রিলে পাঠানো হয়েছিল।

আরও পড়ুন:

ইন্টারসেপ্টার মিসাইলের সফল উৎক্ষেপন, মাঝ পথেই ধ্বংস ‘হামলাকারী’

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০ কিলোমিটার দৌড় চলাকালীন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এক জওয়ানের মৃত্যুর পর যখন অফিসারদের সঙ্গে জওয়ানদের সংঘর্ষ শুরু হয়, পরিস্থিতি তখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল। খবর পেয়ে অন্যান্য ইউনিট থেকে বিশাল বাহিনী ঘটনাস্থলে পাঠানো হয় বলেও জানা গিয়েছে। তবে দিল্লিতে সেনার সদর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি। বাইরে থেকে অতিরিক্ত বাহিনী পাঠানোরও দরকার হয়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement