প্রশান্ত কিশোর। —ফাইল চিত্র।
প্রশান্ত কিশোরের ‘জন সুরজ অভিযান’ এ বার রাজনৈতিক দল হিসাবে উন্নীত হতে চলেছে। আগামী ২ অক্টোবর (গান্ধী জয়ন্তীতে) আনুষ্ঠানিক ভাবে রাজনৈতিক দল হিসাবে ঘোষণা করা হবে ‘জন সুরজ অভিযান’-কে। নাম দেওয়া হবে ‘জন সুরজ’ দল। ইতিমধ্যেই তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন প্রশান্ত। রবিবার পটনায় বাপু সভাঘরে এক বৈঠকে বসেছিলেন তিনি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ‘জন সুরজ অভিযান’-এর জেলা স্তরের পদাধিকারীরা। আগামী বছরেই বিহারে বিধানসভা ভোট রয়েছে। তার আগে প্রশান্তের ‘জন সুরজ অভিযানকে’ রাজনৈতিক দলে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত ঘিরে চর্চা শুরু হয়েছে বিহারের রাজনীতিতে।
২ অক্টোবর রাজনৈতিক দলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে আগামী কয়েক সপ্তাহে একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে প্রশান্তর। ‘জন সুরজ অভিযান’-এর পদাধিকারীদের নিয়ে রাজ্য স্তরের আটটি বৈঠক করার কথা রয়েছে তাঁর। সূত্রের খবর, নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা, নেতৃত্বের পরিকাঠামো তৈরি করা, দলের গঠনতন্ত্রের খসড়া তৈরি করা-সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা হবে ওই বৈঠকগুলিতে।
উল্লেখ্য, বিহারের তৃণমূল স্তরের মানুষ জনের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের মতো ইস্যুগুলিকে তুলে ধরতেই শুরু হয়েছিল ‘জন সুরজ অভিযান’। কর্মসূচির প্রথম সারির মুখ ছিলেন প্রশান্ত। এ বার সেই উদ্যোগকে আরও এক ধাপ এগিয়ে রাজনৈতিক দল হিসাবে উন্নীত করতে চাইছেন প্রশান্ত। আগামী বছর বিহারের বিধানসভা ভোটে নীতীশ কুমারের জেডিইউ-এর বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া বইতে পারে বলে চর্চা শুরু হয়েছে। আবার আরজেডির ভোট ব্যাঙ্কও মুসলিম ও যাদব ভোটব্যাঙ্ক ছাপিয়ে কতটা বাড়তে পারবে, তা নিয়েও চর্চা রয়েছে। এ সবের মধ্যে বিহারের ভোটে নতুন দলকে সামনে রেখে জনমানসে ছাপ ফেলার চেষ্টায় রয়েছেন প্রশান্ত।