দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেন। ছবি: সংগৃহীত।
করমণ্ডল দুর্ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। এর মধ্যেই আবার বেলাইন হল দূরপাল্লার ট্রেন। শুক্রবার ভোরে চেন্নাই সেন্ট্রাল স্টেশনের কাছে লাইনচ্যুত হয়েছে জনশতাব্দী এক্সপ্রেসের ২টি চাকা। এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।
বিজয়ওয়াড়া থেকে আসছিল ট্রেনটি। চেন্নাই সেন্ট্রাল স্টেশনে যাত্রীদের নামানোর পর ট্রেনটিকে বাসিন ব্রিজ ওয়ার্কশপে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই সময় ট্রেনে কোনও যাত্রী ছিলেন না। ওয়ার্কশপে ট্রেনটি নিয়ে যাওয়ার সময়ই ২টি চাকা লাইনচ্যুত হয়। কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখছে রেলপুলিশ।
ঠিক এক সপ্তাহ আগে, ২ জুন ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানগা বাজার স্টেশনের কাছে লাইনচ্যুত হয়েছিল চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসও। দুর্ঘটনার অভিঘাতে একটি মালগাড়ির কামরার উপরে উঠে গিয়েছিল করমণ্ডলের ইঞ্জিন। দুর্ঘটনায় ২৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার বীভৎসতার মধ্যেই আবার ট্রেন বেলাইনের খবর প্রকাশ্যে এল।
করমণ্ডলকাণ্ডের পর গত কয়েক দিনের মধ্যেই বেশ কয়েকটি ট্রেন বেলাইন হয়েছে। গত সোমবার ওড়িশার বারগড় জেলায় লাইনচ্যুত হয়েছিল একটি মালগাড়ি। ডুংরি চুনাপাথর খনি এবং বারগড়ে একটি সিমেন্ট কারখানার মধ্যে ন্যারো গেজ লাইন রয়েছে। রেল সূত্রে খবর, ওই লাইনেই বেলাইন হয়েছিল মালগাড়িটি। ওই রেলপথের সঙ্গে ভারতীয় রেল যুক্ত নয়। মঙ্গলবার রাতে মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে রান্নার গ্যাসবোঝাই মালগাড়ির দু’টি ওয়াগন বেলাইন হয়ে যায়। কেউ হতাহত হননি।
মঙ্গলবার ওড়িশার ব্রহ্মপুরে সেকেন্দরাবাদ-আগরতলা এক্সপ্রেসে আগুন-আতঙ্ক ছড়ায়। একই দিনে উত্তরপ্রদেশের কৌশাম্বী জেলার ভরওয়াড়ী স্টেশনের কাছে ধোঁয়া দেখা যায় শিয়ালদহ-অজমের এক্সপ্রেসের একটি কামরায়। বৃহস্পতিবার ওড়িশার নৌপাড়া জেলায় দুর্গ-পুরী এক্সপ্রেসেও আগুন-আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। করমণ্ডল বিপর্যয়ের পর ট্রেন পরিষেবায় একাধিক বিপত্তি প্রকাশ্যে আসছে, যা নিয়ে যাত্রী সুরক্ষার প্রশ্ন আবার উঠেছে।