চলছে ভোটগণনা। ছবি: পিটিআই।
উপত্যকায় গুপকার জোটের সঙ্গে মুখোমুখি টক্কর চলছে বিজেপির। সদ্য জেলা উন্নয়ন পরিষদের ভোট (ডিডিসি) সম্পন্ন হয়েছে সেখানে। মঙ্গলবার ভোটগণনা শুরু হয়েছে। তাতে দুপুর ২টো পর্যন্ত ফারুক আবদুল্লার নেতৃত্বাধীন গুপকার জোটই এগিয়ে রয়েছে। সেখানে ২৮০টি আসনের মধ্যে ৮১টি আসনে এগিয়ে রয়েছে তারা। বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ৪৭টি আসনে। কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ২১টি আসনে।
গত বছর অগস্টে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে কেন্দ্রীয় সরকার। উপত্যকাকে দ্বিখণ্ডিত করে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ, দু’টি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠিত হয়। সেই নিয়ে থমথমে পরিবেশের মধ্যেই এই প্রথম নির্বাচন সম্পন্ন হল সেখানে। তাতে একদিকে রয়েছে আবদুল্লাদের ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি), মেহবুবা মুফতির নেতৃত্বাধীন পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (পিডিপি)-র মতো আঞ্চলিক দলগুলিকে নিয়ে গঠিত গুপকার জোট। তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপি।
কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একজোটে প্রতিবাদ জানাতে এবং উপত্যকার হৃত মর্যাদা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যেই গুপকার জোট গঠিত হয়েছিল। তাই উপত্যকার মানুষের মনোভাব বুঝতে এই নির্বাচন তাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে আগামী দিনে উপত্যকায় সরকার গড়তে হলে উপত্যকার মানুষের স্পন্দন বুঝতে মরিয়া গেরুয়া শিবিরও। তবে জম্মুতে জনমত তাদের পক্ষে গেলেও, কাশ্মীর যথেষ্টই ভাবাচ্ছে দলের নেতাদের।
আরও পড়ুন: ঝগড়ুটে, স্বামীকে সন্দেহ, অত্যাচার আইনি নোটিসে বিস্ফোরক সৌমিত্র
আরও পড়ুন: শুরু পূর্ব বর্ধমানে, জেলায় জেলায় শুভেন্দু-সফরে গাইড দিলীপ
ইভিএম-এর পরিবর্তে এ বারে কাগজের ব্যালটে ভোট হয়েছে উপত্যকায়। ২৫ দিন ধরে ৮ দফায় ভোটগ্রহণ হয়েছে। তার জন্য গণনা সম্পন্ন হতে সময় লাগছে। তবে নিজেদের জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি নেতৃত্ব। কারণ, ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর গুপকার জোটের বহু হেভিওয়েট নেতাই দীর্ঘদিন বন্দি ছিলেন। এখনও গৃহবন্দি রয়েছেন অনেকেই। তাই নির্বাচনী প্রচারে সে ভাবে দেখা যায়নি তাঁদের। সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে ছাড়েনি গেরুয়া শিবির। তবে এই নির্বাচন আসলে আদর্শের লড়াই, তাই মানুষের রায় তাঁদের পক্ষে যাবে বলে আশাবাদী গুপকার জোটের নেতারা।