কাশ্মীরে পরিস্থিতি বুঝে কড়াকড়ি শিথিল করবে কেন্দ্র। ফাইল চিত্র
সাবধানে, বুঝেশুনে, ধাপে ধাপে কাশ্মীরে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দিকে এগোচ্ছে প্রশাসন। সোমবার থেকে খুলবে স্কুল। তার আগে, শনিবারই শ্রীনগরের একটা বড় অংশে চালু হয়ে যাবে টেলি যোগাযোগ। বেশ কিছু জেলায় সরকারি যানবাহন সচল হয়েছে শুক্রবার থেকে। জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যসচিব বিভিআর সুব্রহ্মণ্যম এ দিন সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান— আগামী সপ্তাহের মধ্যে সার্বিক পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে যাবে উপত্যকায়।
কেন্দ্রীয় সরকার বা জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন উপত্যকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে যে কথা বার বার বলে আসছিলেন, এ দিন তা আবারও জোরের সঙ্গে তুলে ধরেন সুব্রহ্মণ্যম। বলেন, “একজনেরও মৃত্যু হয়নি। গুরুতর আঘাতেরও কোনও খবর নেই। শান্তি বজায় রাখতে কয়েকজনকে মাত্র সতর্কতামূলক ভাবে আটক করা হয়েছে।”
আরও পড়ুন: পরমাণু অস্ত্র ‘প্রথম ব্যবহার নয়’ নীতি পাল্টাতে পারে, বললেন রাজনাথ
আরও পড়ুন: মনে হচ্ছে আমরা যেন খাঁচাবন্দি পশু, খোলা চিঠিতে অমিত শাহকে তোপ মেহবুবা-কন্যার
জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের তরফে একটি প্রেস বিবৃতিও দেওয়া হয়েছে। তাতে লেখা হয়েছে, “রাজ্যের ২২টি জেলার মধ্যে ১২টিতে পরিস্থিতি প্রায় স্বাভাবিক। পাঁচটি জেলায় রাত্রিকালীন কিছু নিষেধাজ্ঞা থাকছে।” সোমবার থেকে পরিস্থিতির আরও উন্নতি ঘটতে থাকবে বলে এ দিন জানিয়েছেন মুখ্যসচিব।
জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদের সিদ্ধান্ত বলবৎ এবং রাজ্য ভাগের সিদ্ধান্ত হয় গত ৫ অগস্ট। তার পরই প্রায় গোটা রাজ্যে কার্ফু জারি করা করা হয়। বন্দি করা হয় চারশোর বেশি নেতানেত্রীকে। সংবাদমাধ্যমের অবাধ যাতায়াতও বন্ধ করে দেওয়া হয়। ১১ দিন পেরিয়েছে। এর মধ্যে ইদ উপলক্ষে কড়াকড়ি সামান্য শিথিল হয়েছিল কিছু কিছু জায়গায়। স্বাধীনতা দিবসেও কাশ্মীরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল।
ধাপে ধাপে, পরিস্থিতি বুঝে কড়াকড়ি শিথিল করা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টকেও পাশে পেয়েছে কেন্দ্র। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের মু্খ্য বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, এসএ বোবদে ও এসএ নাজিরের বেঞ্চ কাশ্মীরের গণযোগাযোগ সচল করার আবেদনের ভিত্তিতে একটি শুনানিতে বলেন, ‘‘জম্মু-কাশ্মীরে টেলিফোন অনেকটাই সচল। আমরা ফোনও পাচ্ছি। সংবাদমাধ্যমে পড়েছি ইন্টারনেট পরিষেবাও ধীরে ধীরে সচল হচ্ছে। গোটা বিষয়টি শান্তিপূর্ণভাবে সামলাতে আমরা সামান্য সময় দিতে চাই।’’