নরেন্দ্র মোদী। ছবি পিটিআই।
জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। কিন্তু এখনও সেই সময় আসেনি। আজ সংসদে কেন্দ্র জানাল, ‘সঠিক সময়ে’ জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হবে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই লিখিত উত্তরে আজ রাজ্যসভায় বলেন, ‘‘শান্তি প্রতিষ্ঠিত হলে সঠিক সময়ে জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হবে।’’ রাজ্যসভায় সরকারকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, জম্মু-কাশ্মীরকে পুনরায় রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার বিষয়ে কেন্দ্রের কাছে কোনও প্রস্তাব রয়েছে কিনা এবং যোগাযোগের মাধ্যমের বিভিন্ন ক্ষেত্রগুলি থেকে নিষেধাজ্ঞা কবে প্রত্যাহার করা হবে।
ওই প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই সংবিধান সংশোধন করে জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যকে দু’ভাগ করে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠন করা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরে ইন্টারনেট, মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে জাতীয় নিরাপত্তার কথা মনে রেখেই। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ওই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সার্বিক পরিস্থিতি নির্দিষ্ট সময় অন্তর পর্যালোচনা করা হচ্ছে এবং বিধিনিষেধ ধীরে ধীরে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গোটা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪জি ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হয়েছে।
২০১৯ সালের অগস্টে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার এবং জম্মু-কাশ্মীরকে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভাজনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিল নরেন্দ্র মোদীর সরকার। সেই সময়ই সরকারের তরফে বলা হয়েছিল, ভবিষ্যতে জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। মাস কয়েক আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও জানিয়েছিলেন, ‘উপযুক্ত সময়ে’ জম্মু-কাশ্মীরকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।