স্বচ্ছ ভারত অভিযানের তথ্য নিয়ে বিভ্রান্তি উত্তরপ্রদেশে। ফাইল চিত্র
২০১৮ সালের অক্টোবর মাসের মধ্যেই উত্তরপ্রদেশে খোলা জায়গায় মলত্যাগ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শৌচাগার পেয়েছে প্রতিটি পরিবার। এমনটাই ফলাও করে ঘোষণা করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। কিন্তু কতটা সত্য এই তথ্য? বছর ঘুরতে খোদ সরকারি সমীক্ষাতেই দেখা যাচ্ছে, উত্তরপ্রদেশে এখনও ১৪ লক্ষ ৬২ হাজার বাড়িতে শৌচাগারই নেই। এই পরিসংখ্যান সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তড়িঘড়ি স্বচ্ছ ভারত অভিযানের সাফল্য খতিয়ে দেখতে গিয়ে জলসম্পদ মন্ত্রক ছয় সদস্যের একটি কমিটিকে পাঠানো হয়েছে উত্তরপ্রদেশে।
গত ২০ সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশের স্বচ্ছ ভারত মিশন ডিরেক্টর ব্রহ্মদেব তিওয়ারি মোট ৭৪ জন জেলাশাসককে একটি চিঠি দেন। সেখানেই তিনি উল্লেখ করেন, ১৪ লক্ষ ৬২ হাজার পরিবারে এখনও শৌচাগারই নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে অনুরোধ করা হয়েছিল তাঁকে।
সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, গত ১৮ ও ১৯ অক্টোবর কেন্দ্রীয় সরকারের ওই প্রতিনিধি দল উত্তরপ্রদেশ ঘুরে খতিয়ে দেখেন ঠিক কতটা কার্যকর হয়েছে স্বচ্ছ ভারত অভিযান। তাঁরা খোঁজ নেন, জিয়ো ট্যাগিং টয়লেটের সংখ্যা সম্পর্কে। ২৬ জেলাকে কোন তথ্যের ভিত্তিতে শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে, খোঁজ নেওয়া হয় সেই বিষয়েও।
আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় ফিরলেও স্তিমিত গেরুয়া হাওয়া, দর বাড়াচ্ছে শিবসেনা, শক্তিবৃদ্ধি বিরোধীদের
আরও পড়ুন:মেট্রোর সুড়ঙ্গে চাঙড় খসে মৃত্যু শ্রমিকের
কোথা থেকে এই তথ্য পেলেন ব্রহ্মদেব তিওয়ারি? সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, গত ১৫ অগস্ট থেকে ২৫ অগস্ট পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশ ঘুরে এই তথ্য জোগাড় করে জলশক্তিমন্ত্রকের ইউনিভার্সাল স্যানিটেশন কভারেজ। জেলাশাসকদের দেওয়া চিঠিতেও তিনি লিখেছেন, প্রাথমিক ভাবে দেখা গিয়েছিল ৪৪লক্ষের বেশি পরিবারে এখনও শৌচালয় তৈরি হয়নি। পরে অগস্ট মাসের গণনায় দেখা যায় কিছু শৌচালয় হলেও এখনও ১৪ লক্ষেরও বেশি পরিবার এই সুবিধে পায়নি।
রাজ্যের পঞ্চায়েতরাজ মন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিংহ চৌধুরী সেপ্টেম্বর মাসেই দাবি করেছিলেন, উত্তরপ্রদেশে এমন একটিও পরিবার নেই যেখানে শৌচাগার নেই। এর পরে এই পরিসংখ্যান সামনে আসায় স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তিতে পড়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, স্বচ্ছ ভারত অভিযানের সাফল্য নিয়েও।