খরার কথা মানতেই নারাজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

কেন্দ্র গত মাসেই খরার আশঙ্কা জানিয়ে সতর্কবার্তা পাঠায় মহারাষ্ট্র, গুজরাত, কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, তামিলনাড়ু-সহ কয়েকটি রাজ্যকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০১৯ ০২:৫২
Share:

কেন্দ্রীয় জল শক্তিমন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত। —ফাইল চিত্র।

টানা দাবদাহে কার্যত জ্বলছে দেশের একটা বড় অংশ। বিস্তীর্ণ এলাকায় বৃষ্টির অভাব এবং প্রবল গরমে জলস্তর নেমে গিয়ে খরার আশঙ্কা দেখা দিলেও তা মানতে নারাজ কেন্দ্রীয় জল শক্তিমন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত। তাঁর কথায়, ‘‘দেশের কোথাও কোনও খরা নেই। সব সংবাদমাধ্যমের বানানো!’’

Advertisement

কেন্দ্র গত মাসেই খরার আশঙ্কা জানিয়ে সতর্কবার্তা পাঠায় মহারাষ্ট্র, গুজরাত, কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, তামিলনাড়ু-সহ কয়েকটি রাজ্যকে। আজ দিল্লিতে কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের প্রথম বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘‘উত্তরাখণ্ড ও হিমাচলের বাঁধে পর্যাপ্ত জল ধরা আছে। চিন্তার কোনও কারণ নেই।’’ অথচ ৮ মে রাজ্যগুলিকে পাঠানো কেন্দ্রের নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, দক্ষিণ ও পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলির জলাধারে জলের পরিমান মোট ক্ষমতার ২২ শতাংশে নেমে এসেছে। আর দু’শতাংশ নামলেই খরা পরিস্থিতি তৈরি হবে। আজ মন্ত্রীর উল্টো বক্তব্যে অনেকেই বিস্মিত।

আজ শেখাওয়াতের নেতৃত্বে জলশক্তি মন্ত্রকের এই বৈঠকে ২০২৪-এর মধ্যে দেশের সব পরিবারের কাছে নলবাহিত পরিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। আর এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকেই গরহাজির রইল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।

Advertisement

আজ শেখাওয়াত সব রাজ্যের মন্ত্রী-আমলাদের সঙ্গে দিল্লিতে বৈঠক করেন। সেখানে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া সব রাজ্যই হাজির ছিল। অথচ যে সব রাজ্যে ৫ শতাংশের কম পরিবারে নলবাহিত পানীয় জল পৌঁছয়, তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গও রয়েছে। শেখাওয়াত বলেন, ‘‘একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ আজকের বৈঠকে যোগ দেয়নি। বিষয়টি দুর্ভাগ্যজনক।’’ ২০২৪-এর মধ্যে সব ঘরে নলবাহিত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি বিজেপির ইস্তাহারেই ছিল। সেই ‘নল সে জল’ প্রকল্প রূপায়ণেই নতুন জলশক্তি মন্ত্রক তৈরি হয়েছে। শেখাওয়াত বলেন, ‘‘দেশে ১৪ কোটি পরিবার রয়েছে যেখানে এখনও পরিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছয়নি। পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ছত্তীসগঢ়, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশায় ৫ শতাংশেরও কম পরিবারে নলবাহিত পরিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছয়।’’

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement