S jaishankar

পাকিস্তানে যাচ্ছেন জয়শঙ্কর, ৯ বছর পর সে দেশে ভারতের বিদেশমন্ত্রী

সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য অগস্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল পাকিস্তান। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল শুক্রবার বলেন, ‘‘১৫ এবং ১৬ অক্টোবর পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে এসসিওর বৈঠক রয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৪ ২১:৪৩
Share:

ভারতের বিদেশমন্ত্রী এএস জয়শঙ্কর। —ফাইল ছবি।

অক্টোবরে পাকিস্তানে যাচ্ছেন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। শুক্রবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-র বৈঠকে যোগ দিতে সেখানে যাচ্ছেন তিনি। ন’বছর পর ভারতের কোনও বিদেশমন্ত্রী পাকিস্তানে যাচ্ছেন। এর আগে ২০১৫ সালে শেষ বার পাকিস্তানে গিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।

Advertisement

সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য অগস্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল পাকিস্তান। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল শুক্রবার বলেন, ‘‘১৫ এবং ১৬ অক্টোবর পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে এসসিওর বৈঠক রয়েছে। সেখানে আমাদের প্রতিনিধিদের নেতৃত্ব দেবেন বিদেশমন্ত্রী।’’ তবে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এ-ও জানানো হয়েছে যে, পাকিস্তানে শুধু সম্মেলনেই যোগ দেবে প্রতিনিধি দল। প্রতিবেশী দেশের সরকারের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক কোনও বৈঠকে বসার সম্ভাবনা নেই।

মনে করা হচ্ছে, জয়শঙ্কর শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানে গেলে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক কিছুটা হলেও সহজ হবে। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুলওয়ামা হামলার পর থেকে দুই দেশের সম্পর্কে ফাটল ধরে। ওই ঘটনার পরে পাকিস্তানের বালাকোটে ঢুকে জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-এ-মহম্মদের প্রশিক্ষণ শিবিরে হামলা চালায় ভারতীয় সেনা। ২০১৯ সালের অগস্টে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা (৩৭০ ধারা) প্রত্যাহার করে কেন্দ্র। সেই নিয়ে সরব হয় পাকিস্তান, যা ভাল ভাবে দেখেনি ভারত। এই নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় কেন্দ্র। তাদের তরফে বার বার মনে করিয়ে দেওয়া হয় যে, বিষয়টি একেবারেই ভারতের নিজস্ব। এই নিয়ে পাকিস্তানের মতামত থাকতে পারে না। গত সপ্তাহে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় পাকিস্তানকে সীমান্তে সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য কটাক্ষ করেছেন জয়শঙ্কর। এই আবহে তাঁর পাকিস্তানে যাওয়া তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

ভারত ছাড়াও এসসিওর সদস্য হল চিন, রাশিয়া, পাকিস্তান, কিরঘিজস্তান, কাজাখস্তান, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান। ২০০১ সালে সাংহাইতে একটি সম্মেলনে তৈরি করা হয়েছিল এই সংগঠন। ওই সম্মেলনে উপস্থিত ছিল রাশিয়া, চিন, কিরঘিজ রিপাবলিক, কাজাখস্তান, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান। ২০০৫ সালে প্রথম বার ভারত এই এসসিও-র সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছিল। ২০১৭ সালে ভারত এবং পাকিস্তান একই সঙ্গে এই সংগঠনের স্থায়ী সদস্যপদ লাভ করে। ২০২৩ সালে ভারত এই সম্মেলনের আয়োজন করে। ওই বছর জুলাই মাসে ভার্চুয়াল মাধ্যমে হয়েছিল বৈঠক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement