শিল্পপতি মুকেশ অম্বানীর বাড়ির সামনে বিস্ফোরক রাখার দায় নিল জইশ-উল-হিন্দ। মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে হামলার দায় স্বীকার করেছে তারা। সম্প্রতি দিল্লিতে ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণের পিছনেও এই সংগঠনের হাত ছিল বলে জানা গিয়েছিল। এশিয়ার সবচেয়ে ধনী শিল্পপতিও যে তাদের নিশানায় রয়েছে, এ বার তা জানা গেল। তবে টেলিগ্রামে প্রকাশিত ওই বিবৃতির সত্যতা যাচাই করা যায়নি।
জইশ-উল-হিন্দের নামে টেলিগ্রামে যে বার্তা সামনে এসেছে, তাতে দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া হয়েছে। লেখা হয়েছে, ‘আটকাতে পারলে আটকে দেখাও। দিল্লিতে তোমাদের নাকের ডগায় বিস্ফোরণ ঘটানোর সময়ও কিছু করতে পারোনি। মোসাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েও কিনারা হয়নি। কী করণীয় তা খুব ভাল করেই জানো তোমরা। নির্দেশ মেনে শুধু টাকা পাঠিয়ে দাও’।
নগদের বদলে টাকা বিটকয়েনে দিতে হবে বলেও দাবি করা হয়েছে ওই বিবৃতিতে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। তবে এই ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা যুক্ত থাকতে পারে, এখনও তেমন কোনও ইঙ্গিত মেলেনি।
গত শুক্রবার মুম্বইয়ে অম্বানীর বাড়ি ‘অ্যান্টিলিয়া’র বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়ি থেকে বিস্ফোরক এবং ২০টি জিলেটিন স্টিক উদ্ধার হয়। গাড়ির ভিতর থেকে মেলে একাধিক নম্বর প্লেটও। এর মধ্যে অম্বানী পরিবারের নিরাপত্তারক্ষীদের গাড়ির নম্বরের হুবহু নেমপ্লেটও উদ্ধার হয়। এই ঘটনার পর থেকেই কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে অম্বানীদের বাড়ি।
তবে জইশ-উল-হিন্দ নামের আদৌ কোনও সংগঠন রয়েছে কি না, তারা আদৌ কোনও জঙ্গি সংগঠন কি না, এখনও পর্যন্ত সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি। ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণের আগে পর্যন্ত তাদের নামও কেউ শোনেনি।