গরমে নাজেহাল রাজস্থান। ছবি: পিটিআই।
সেপ্টেম্বরেও তাপমাত্রা কমার কোনও লক্ষণ নেই রাজস্থানে। বরং কোথাও কোথাও সেই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির কোঠা ছাড়িয়েছে। আর এই অসহ্য গরমে নাজেহাল মরুরাজ্য।
রাজ্যে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শনিবার জয়সলমেরের তাপমাত্রা গত ৭৪ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। ১৯৪৯ সালে ১০ সেপ্টেম্বর জয়সলমেরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছুঁয়েছিল ৪৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ২০২৩ সালের ৯ সেপ্টেম্বর সেই তাপমাত্রা ছাড়িয়ে ৪৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। মরুভূমি সংলগ্ন এলাকাগুলিতে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
জয়সলমেরের পর রয়েছে বারমের। শনিবার এই জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওই দিন বিকানেরের তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি। জোধপুরে ৩৯.৫, জালোরে ৩৮.৭ এবং গঙ্গানগরে ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী জয়পুরের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির কোঠায় না পৌঁছলেও হাঁসফাঁস পরিস্থিতি ছিল গোটা দিনই। জয়পুরে শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টা এই পরিস্থিতি বজায় থাকবে। তবে ১৩-১৪ সেপ্টেম্বর পূর্ব রাজস্থানের বেশ কিছু অংশে মৌসুমী বায়ু আবার সক্রিয় হতে পারে। ফলে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ওই সময়।
জয়সলমের, জোধপুর বা বিকানেরের মতো জেলাগুলি যখন গরমে পুড়ছে, অন্য দিকে, কোটা, ভরতপুর, উধয়পুর এবং অজমেরে হালকা বৃষ্টি হয়েছে শনিবার। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বর্ষার মরসুমে যে পরিমাণ বৃষ্টির প্রয়োজন ছিল, তার তুলনায় ৫ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবে জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩৯৮.৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। কিন্তু এ বার এই মরসুমে বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ৪১৯.৬ মিলিমিটার। পূর্বা রাজস্থানের ২৩টি জেলায় আবার স্বাভাবিকের তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। অন্য দিকে, পশ্চিম রাজস্থানের ১০টি জেলায় স্বাভাবিকের থেকে ৩৬ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে।