প্রধানমন্ত্রী মোদীকে (বাঁ দিকে) ‘স্বভাবগত মিথ্যেবাদী’ বলেন জয়রাম রমেশ (ডান দিকে)।
২০০৯ সালেই দেশে চিতা আনতে উদ্যোগী হয়েছিল পূর্বতন সরকার। প্রধানমন্ত্রীর কটাক্ষের জবাবে এমনটাই দাবি করলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশ। টুইটারে সেই দাবির সপক্ষে একটি চিঠি পোস্ট করেন জয়রাম। প্রধানমন্ত্রী মোদীকে বলেন, ‘স্বভাবগত মিথ্যেবাদী’।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী মোদী পূর্বতন কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারকে একহাত নিয়ে জানিয়েছিলেন, সাত দশক আগে ভারত থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায় চিতা। তার পরেও আগের সরকার ভারতে চিতা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করেনি। মধ্যপ্রদেশের শেওপুর জেলায় কুনো জাতীয় উদ্যানে নামিবিয়া থেকে আনা তিনটি চিতা ছাড়ার সময় এই মন্তব্য করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। নামবিয়া থেকে মোট আটটি চিতা আনা হয়েছে।
শনিবার টুইটারে জয়রাম রমেশ লেখেন, ‘২০০৯ সালে চিতা প্রকল্প শুরুর সময় এই চিঠি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী অস্বাভাবিক মিথ্যেবাদী। ভারত জোড়ো যাত্রায় ব্যস্ত থাকার কারণে গতকাল আমি চিঠিটি হাতে পাইনি।’ ওয়াইল্ডলাইফ ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়ার এমকে রণজিৎ সিংহকে লেখা সেই চিঠিও পোস্ট করেছেন জয়রাম। তখন তিনি কেন্দ্রীয় পরিবেশ এবং বনমন্ত্রী। চিঠিতে রণজিৎকে ভারতে চিতা ফিরিয়ে আনার রূপরেখা তৈরি করার নির্দেশ দেন। কোথায় চিতা রাখা হতে পারে, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তার কথাও বলেন।
এই টুইট নিয়ে অবশ্য বিজেপি এখনও কোনও মন্তব্য করেনি। শনিবার প্রধানমন্ত্রী চিতাকে মধ্যপ্রদেশের জাতীয় উদ্যানে ছাড়ার সময় বলেছিলেন, ‘‘এটা দুর্ভাগ্যজনক, যে ১৯৫২ সালে আমরা চিতাকে বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী ঘোষণা করি। দশকের পর দশক কেটে গেলেও ভারতে ফের তাদের ভারতে ফেরানোর কোনও চেষ্টাই হয়নি। এখন এই ‘অমৃতকাল’-এ দেশে চিতার সংখ্যা বাড়ানোর জন্য সর্বশক্তি দিয়ে একটি প্রকল্প শুরু করা হয়েছে।’’ কংগ্রেস অবশ্য প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক ভাবে মধ্যপ্রদেশে চিতা ছাড়ার পদক্ষেপকে ‘তামাশা’ বলে কটাক্ষ করেছে।