ভারত বন্‌ধ না হলেও হবে ‘জেল ভরো’

তবে কৃষক, শ্রমিক ও অবসরপ্রাপ্ত ফৌজিদের সংগঠন ৯ অগস্ট ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের দিনে ‘মোদী গদি ছাড়ো’-র স্লোগান তুলে ‘জেল ভরো’ আন্দোলনে নামছে। আজ তাঁরা হাতিয়ার হিসেবে পেয়েছে এম এস স্বামীনাথনের বিবৃতি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা ও নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০১৮ ০৪:০৪
Share:

ভারত বন্‌ধ থেকে সরে এসে কেন্দ্রকে স্বস্তি দিল দলিত সংগঠনগুলি। কিন্তু ফসলের সহায়ক মূল্য ও কৃষকদের অভিযোগ নিয়ে কেন্দ্রকে খোঁচা দিয়ে অস্বস্তিতে ফেললেন প্রবীণ কৃষিবিজ্ঞানী এম এস স্বামীনাথন।

Advertisement

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ খারিজ করতে মোদী সরকার তফসিলি জাতি-জনজাতি আইনে সংশোধনী বিল এনেছে। সেই সুবাদেই আজ দলিত সংগঠন সর্বভারতীয় অম্বেডকর মহাসভা জানিয়ে দিল, ৯ অগস্টের ভারত বন্‌ধ থেকে সরে আসছে তারা। তবে বন্‌ধে না গেলেও কাল তাঁরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবেন।

তবে কৃষক, শ্রমিক ও অবসরপ্রাপ্ত ফৌজিদের সংগঠন ৯ অগস্ট ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের দিনে ‘মোদী গদি ছাড়ো’-র স্লোগান তুলে ‘জেল ভরো’ আন্দোলনে নামছে। আজ তাঁরা হাতিয়ার হিসেবে পেয়েছে এম এস স্বামীনাথনের বিবৃতি।

Advertisement

খরিফ ফসলের দাম ঘোষণা করে মোদী সরকার প্রচার করছে, স্বামীনাথনের সুপারিশ মেনেই চাষের খরচের দেড়গুণ দাম দেওয়া হচ্ছে। তাতে সব খরচ ধরা হয়নি বলে কৃষক সভার অভিযোগ। আজ স্বামীনাথন বলেছেন, কৃষকরাই ঠিক বলছেন। সমস্ত খরচ ধরেই তার দেড়গুণ দাম দিতে হবে। ফসল কেনার সুবিধাজনক নীতি তৈরি করতে হবে। খাদ্য সুরক্ষা ও মিড ডে মিলেও জোর দিতে হবে। স্বামীনাথন বলেন, ‘‘আমি চাষিদের দাবি সমর্থন করছি।’’

এক পদ, এক পেনশন নীতির পুরোপুরি রূপায়ণের দাবিতে কৃষক সভা, সিটু-র সঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত ফৌজিরাও বুকে মেডেল লাগিয়ে গ্রেফতার বরণ করবেন। ৪০০টি জেলায় ২০ লক্ষ লোক গ্রেফতার বরণ করবেন। কাল রাজ্যের সব জেলায় ‘জেল ভরো’ কর্মসূচিতে নামছে সিপিএমের কৃষক ও শ্রমিক সংগঠন। বিক্ষোভ হবে কলকাতায়ও। রাজ্য জুড়ে যে স্বাক্ষর সংগ্রহ হয়েছে, দাবিপত্রের সঙ্গে তা জমা দেওয়া হবে জেলা সদরে। সিটুর রাজ্য সম্পাদক অনাদি সাহু জানিয়েছেন, কলকাতা পুরসভার সামনে দুপুরে জমায়েত হবে। তার পরে মিছিল যাবে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে আইন অমান্যের জন্য।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement