উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। ছবি: পিটিআই।
সনিয়া গান্ধী নাম না করে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের মন্তব্যের সমালোচনা করেছিলেন। আজ খনখড় সরাসরি ‘ইউপিএ সভানেত্রী’র নাম করেই সনিয়ার সমালোচনা ‘যথাযথ নয়’ বলে দাবি করলেন। আজ রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের আসন থেকেই ধনখড় বলেছেন, ইউপিএ সভানেত্রীর মন্তব্যে গণতন্ত্রে অনাস্থার ইঙ্গিত রয়েছে বলেই তিনি পাল্টা জবাব এড়িয়ে যেতে পারছেন না। রাজনৈতিক দলের নেতানেত্রীদের তিনি বার্তা দিয়েছেন, তাঁরা যেন সাংবিধানিক পদে আসীন ব্যক্তিদের দিকে পক্ষপাতের অভিযোগ না তোলেন।
বুধবার কংগ্রেসের সংসদীয় দলের বৈঠকে সনিয়া গান্ধী বলেছিলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে সাংবিধানিক উচ্চ পদে আসীন এক ব্যক্তিকেও হিসেব কষে বিচারবিভাগের সমালোচনায় মাঠে নামানো হয়েছে। উদ্দেশ্য হল, বিচারবিভাগের বিশ্বাসযোগ্যতাকে মানুষের চোখে খাটো করা। কারও নাম না করলেও সনিয়ার ইঙ্গিত ছিল খনখড়ের দিকে। কারণ উপরাষ্ট্রপতি হয়ে ও রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হিসেবে প্রথম দিনেই তিনি বিচারপতি নিয়োগের কলেজিয়াম ব্যবস্থার সমালোচনা করেছিলেন। জাতীয় বিচারপতি নিয়োগ কমিশন বিল খারিজ করে দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টকে নিশানা করেছিলেন।
আজ ধনখড় বলেন, ‘‘সংসদের সার্বভৌমত্ব গণতন্ত্রের জন্য জরুরি। তা নিয়ে কোনও দর কষাকষি চলে না। আমি সে দিকেই জোর দিয়েছিলাম। ইউপিএ সভানেত্রী যা বলেছেন, তা আমার মতামতের থেকে আলাদা। বিচারবিভাগকে খাটো করা আমার কল্পনার অতীত।”