জগদীপ ধনখড়। —ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ভূয়সী প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়। আজ অধিবেশন চলাকালীনই ধনখড় বলেন, ‘‘বিশ্ব মঞ্চে স্বীকৃত একজন শ্রেষ্ঠ নেতা নরেন্দ্র মোদী। প্রত্যেকটি ভারতবাসীর উচিত তাঁকে নিয়ে গর্ববোধ করা।’’
আজ রাজ্যসভায় প্রধান বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গের সঙ্গে তিক্ত বাদানুবাদের মধ্যেই দীর্ঘ বক্তৃতায় মোদীর প্রশংসা করতে থাকেন ধনখড়। দৃশ্যতই অসহিষ্ণু বিরোধী সাংসদদের বক্তব্যের জবাবে পাল্টা রসিকতা করতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। যেমন, কথা প্রসঙ্গে খড়্গে বলেছিলেন, ‘‘আমি কালই আপনার কাছে একটি অনুরোধ করেছিলাম... হয়তো আপনি একটু রেগে ছিলেন।’’ উত্তরে ধনখড় বলেন, ‘‘আমি ৪৫ বছরের বেশি সময় বিবাহিত। আমি কখনওই রাগ করি না!’’ এর পর হাসির রোল ওঠে রাজ্যসভায়। না থেমে ধনখড় বলেন, ‘‘আইনজীবী পি চিদম্বরমও আমার সঙ্গে সহমত পোষণ করবেন যে, সিনিয়র অ্যাডভোকেট হিসেবে অথরিটির কাছে রাগ দেখানোর কোনও অধিকার আমাদের নেই। আমি রাগ করি না। এই অংশটা একটু বদলে ফেলুন।’’ হাসাহাসি হলেও অবশ্য হাল ছাড়েননি খড়্গে। ধনখড়কে বলেন, ‘‘আপনি হয়তো রাগ দেখান না। কিন্তু ভেতরে ভেতরে ঠিক রাগ করেন।”
তবে রসিকতাটুকু বিচ্ছিন্ন ঘটনা। গত কয়েক দিন ধরে ধনখড়ের সঙ্গে বিভিন্ন ভাবে তিক্ততা বাড়ছে বিরোধী সাংসদদের। অনেকের অভিযোগ, তিনি একতরফা ভাবে বক্তৃতা দিয়ে যাচ্ছেন। পক্ষপাতিত্ব করছেন। ওয়েলে নামলেই বহিষ্কার করেছেন নির্বিচারে। সব মিলিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনার যে চিন্তাভাবনা বিরোধীদের মধ্যে চলছিল, তা এখনও চালু আছে। কিন্তু ওই প্রস্তাব এনে আলোচনা করতে মাঝে ১৪ দিনের ব্যবধান প্রয়োজন হয়। তাই এই অধিবেশনে সেটা আনা যাবে না। কিন্তু শীতকালীন অধিবেশনের জন্য ভাবনাসূত্রটি রেখে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
আজ খড়্গে অভিযোগের সুরে ধনখড়কে বলেন, “আপনি আমাদের ছোট ছোট অনুরোধও রাখছেন না। আমরা চেয়েছিলাম প্রধানমন্ত্রী আসুন। আপনি তাতেও রাজি হলেন না। প্রধানমন্ত্রীকে রক্ষা করার চেষ্টা করছেন আপনি। জানি না কেন।” চেয়ারম্যান বলেন, “প্রধানমন্ত্রীকে আমার রক্ষা করার কিছু নেই। আন্তর্জাতিক মঞ্চে তিনি স্বীকৃত। আমেরিকান কংগ্রেস এবং সেনেটেও। প্রত্যেকটি ভারতীয়ের উচিত তাঁর জন্য গর্ববোধ করা। ভারত আজ যে ভাবে উঠে আসছে, তা আগে কখনও হয়নি। এই চরম সত্যটিকে কেন খাটো করছেন?”