কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নড্ডা। —ফাইল ছবি।
আর জি কর হাসপাতাল যে ভাবে চলত, তা উদ্বেগের বলে জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নড্ডা। তাঁর কথায়, কোনও রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা কেমন ভাবে চলবে, তা নির্ভর করে সেই রাজ্যের সরকারের প্রশাসনিক দক্ষতার উপরে। আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়ে নড্ডার বার্তা, “আপনাদের প্রতি আমাদের সম্পূর্ণ সহানুভূতি রয়েছে। কিন্তু সাধারণ রোগীরা যাতে অসুবিধায় না পড়েন, তা-ও মাথায় রাখতে হবে।” তবে নড্ডা পাশে থাকার কথা বললেও দিল্লি পুলিশ (যা অমিত শাহের মন্ত্রকের অধীনে) আর জি করের ঘটনা নিয়ে নির্মাণ ভবনের সামনে প্রতিবাদ জানানোয় ২১ জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে সম্প্রতি এফআইআর করেছে।
তৃতীয় নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রথম ১০০ দিনে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কাজের খতিয়ান তুলে ধরতে আজ সাংবাদিক বৈঠক করেন নড্ডা। তাতে আর জি কর সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে ওই হাসপাতালের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। নড্ডা বলেন, “যে ধরনের রিপোর্ট এসেছে, তাতে ওই হাসপাতাল কেমন ভাবে চলত তা সামনে এসেছে। যে কারণে (সম্ভবত) ঘটনাটি ঘটেছে।” আর জি কর কাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দল নড্ডার সঙ্গে দেখা করে। নড্ডা বলেন, “আমি আশ্বাস দিয়েছি, কেন্দ্র তাঁদের পাশে রয়েছে।” আর জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রসঙ্গে নড্ডার বক্তব্য, “কেন্দ্র চিকিৎসকদের পাশে রয়েছে। কিন্তু রোগীরা যেন দুর্ভোগে না পড়েন, সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।”
নড্ডা বলেন, দেশে চিকিৎসকদের নিরাপত্তাজনিত সমস্যা রয়েছে। তাই প্রত্যেক রাজ্যকে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যা সাহায্য প্রয়োজন তা কেন্দ্র দিতে প্রস্তুত। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ব্যাখ্যা, স্বাস্থ্য রাজ্যের বিষয়। তাই রাজ্য সাহায্য চাইলে তবেই কেন্দ্রের পক্ষে পদক্ষেপ করা সম্ভব। নড্ডার বক্তব্য, “রাজ্য পরিচালিত স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের সার্বিক দায়িত্ব রাজ্যেরই। দরকার হলে নিরাপত্তা বাড়াতে হবে। তবে এ-ও ঠিক, সব দেওয়া সত্ত্বেও প্রত্যেক রাজ্যেই নিরাপত্তার প্রশ্নে কিছু তারতম্য লক্ষ্য করা যায়। যা সেই রাজ্যের সরকার ও স্বাস্থ্য দফতরের প্রশাসনিক দক্ষতার উপরে নির্ভর করে।”