শাহ ফয়সল।
শ্রীনগর বিমানবন্দরে জনতাকে উস্কানি দেওয়ার জন্যই শাহ ফয়সলকে আটক করা হয়েছে বলে দিল্লি হাইকোর্টে জানাল জম্মু-কাশ্মীর সরকার।
জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপের পরে অনেক কাশ্মীরি নেতাকে আটক ও গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু এই প্রথম কোনও নেতাকে আটক করা নিয়ে আদালতে ব্যাখ্যা দিল জম্মু-কাশ্মীর সরকার।
১৪ অগস্ট আমেরিকা যাওয়ার পথে দিল্লি বিমানবন্দরে আটক করা হয় ফয়সলকে। তাঁকে শ্রীনগরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে দিল্লি হাইকোর্টে সশরীর হাজির করার মামলা করেন ফয়সলের আইনজীবীরা। সেই মামলায় জম্মু-কাশ্মীর সরকারের বক্তব্য জানতে চায় হাইকোর্ট।
হলফনামায় সরকার জানিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের অনুরোধে ফয়সলের বিরুদ্ধে জারি হয় লুক আউট সার্কুলার। সেই সার্কুলারের শর্ত অনুযায়ী, ফয়সলকে বিদেশে যেতে দেওয়া যাবে না। হলফনামা অনুযায়ী, সেই শর্ত মেনেই আমেরিকা যাওয়ার পথে দিল্লি বিমানবন্দরে আটক করে ফয়সলকে শ্রীনগরে ফেরত পাঠানো হয়। শ্রীনগর বিমানবন্দরে নেমে তিনি জনতাকে উত্তেজিত করতে শুরু করেন। তখন বদগামের ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে তাঁকে আটক করা হয়। শান্তি বজায় রাখার জন্য ওই নেতাকে ৫০ হাজার টাকার বন্ড দিতে বলেন ম্যাজিস্ট্রেট। কিন্তু তিনি রাজি হননি।
হাইকোর্টে আবেদনে ফয়সল জানিয়েছিলেন, আমেরিকায় পড়াশোনা করতে যাওয়ার পথে তাঁকে আটক করেছে সরকার। সরকার হলফনামায় জানিয়েছে, ফয়সলের ছাত্র ভিসা ছিল না। ফয়সলের আর্জিতে জানানো হয়েছে, ওই নেতার স্ত্রী বন্দি শিবিরে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। জম্মু-কাশ্মীর সরকার জানিয়েছে, ফয়সলকে শ্রীনগরের বিলাসবহুল হোটেলে রাখা হয়েছে। সেখানেই ওই নেতার স্ত্রী তাঁর সঙ্গে দেখা করেন।