Income Tax Raid

চার দিন ধরে আয়কর হানা! ১৩৭ কোটি টাকার হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত রাজস্থানের ব্যবসায়ীর

চার দিন ধরে চলা আয়কর দফতরের অভিযানে ১৩৭ কোটি টাকার আয় বহির্ভূত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তালিকায় রয়েছে ৪৫ কেজি সোনাও। আয়কর দফতরের দাবি, রাজস্থানে এর আগে এত পরিমাণে সোনা বাজেয়াপ্ত হয়নি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯:২৩
Share:

রাজস্থানের ব্যবসায়ীর ১৩৭ কোটি টাকার আয় বহির্ভূত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল আয়কর দফতর। ছবি: সংগৃহীত।

রাজস্থানের এক ব্যবসায়ীর ১৩৭ কোটি টাকা হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল আয়কর দফতর। গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয় অভিযান। চলে রবিবার পর্যন্ত। চার দিন ধরে চলা অভিযানে উদয়পুরের পরিবহণ ব্যবসায়ী তিকম সিংহ রাওয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত ১৩৭ কোটি টাকার হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তির খোঁজ পান আয়কর আধিকারিকেরা। এ ছাড়া নগদ চার কোটি টাকা এবং ৪৫ কেজি সোনাও বাজেয়াপ্ত করেছে আয়কর দফতর। গত বৃহস্পতিবার থেকে রাজস্থান এবং মুম্বইয়ে এই ব্যবসায়ীর সঙ্গে সম্পর্কিত ২৩টি জায়গায় হানা দেন আধিকারিকেরা।

Advertisement

আয়কর দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, তিকম উদয়পুরের এক নামী পরিবহণ ব্যবসায়ী। তাঁর ‘উদয়পুর গোল্ডেন ট্র্যান্সপোর্ট অ্যান্ড লজিস্টিক্‌স’ নামে একটি সংস্থা এবং আরও বেশ কয়েকটি সংস্থায় হানা দেয় আয়কর দফতর। তাতে প্রাথমিক ভাবে ১৩৭ কোটি টাকার হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে। এই সম্পত্তি তিকম এবং তাঁর ছোট ভাই গোবিন্দ সিংহ রাওয়ের বলে সন্দেহ আয়কর আধিকারিকদের। তবে আরও কোনও হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে এখনও তদন্ত চলছে।

উদয়পুর, জয়পুর এবং মুম্বইয়ের বেশ কিছু জায়গা থেকে বেশ কিছু সন্দেহজনক নথি হাতে পায় আয়কর দফতর। তাতে তিকমের সংস্থার বিরুদ্ধে আয়কর ফাঁকি দেওয়ার ইঙ্গিত মেলে। সেই সূত্র ধরেই পরিবহণ ব্যবসায়ীর এই হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তির খোঁজ পান আধিকারিকেরা। আয়কর দফতর জানিয়েছে, রাজস্থানে এর আগে একটি অভিযানে এত পরিমাণে সোনা বাজেয়াপ্ত হয়নি। বেশ কিছু নথিপত্রও বাজেয়াপ্ত হয়েছে এবং সেগুলি যাচাই করে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

তিকম তাঁর বেশিরভাগ হিসাব বহির্ভূত অর্থ বিলাসবহুল গা়ড়ি, হোটেল এবং আবাসনে বিনিয়োগ করেন। শুক্রবার উদয়পুরে তিকমের বাড়ি থেকে নগদ তিন কোটি টাকা এবং ২৫ কেজি সোনা উদ্ধার করে আয়কর দফতর। শনিবার ব্যাঙ্কের সাতটি লকার খুলে আরও ২৫ কেজি সোনা এবং নগদ দুই কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত হয়। এর মধ্যে ঘোষিত আয়ের মধ্যে ছিল মাত্র এক কোটি টাকা নগদ এবং পাঁচ কেজি সোনা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement