ইসরোর রকেটের সফল উৎক্ষেপণ। ছবি— পিটিআই।
মহাকাশ পরিবহণে বড় সাফল্য পেল ‘ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন’ (ইসরো)। রবিবার সকাল ৯টায় অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধবন স্পেস সেন্টার থেকে ৩৬টি কৃত্রিম উপগ্রহ নিয়ে অন্তরীক্ষে পাড়ি দিল ভারতের সবচেয়ে বড় ‘লঞ্চ ভেহিকেল মার্ক- ৩’ (এলভিএম ৩) রকেট। এই ধরনের রকেটকে আগে ‘জিয়োসিংক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল এমকে ৩’ নামে ডাকা হত। চন্দ্রায়ন ২ অভিযানের সময়ও এই রকেট ব্যবহার করা হয়েছিল।
ওয়ানওয়েব গ্রুপ অফ কম্পানিজ ইংল্যান্ডের একটি সংস্থা। যারা সরকারি এবং বাণিজ্যিক কাজে ইন্টারনেট পরিষেবা সরবরাহ করে থাকে। ইসরোর বাণিজ্যিক শাখা নিউ স্পেস ইন্ডিয়া লিমিটেডের সঙ্গে সেই সংস্থার একটি চুক্তি হয়। তাতে মোট ৭২টি উপগ্রহ অন্তরীক্ষে নিয়ে যাওয়ার বরাত পায় নিউ স্পেস। সেই চুক্তি অনুযায়ীই রবিবারের উৎক্ষেপণ। ২০২২-এর ২৩ অক্টোবর প্রথম দফায় ওয়ানওয়েবের ৩৬টি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছিল ইসরো।
৪৩.৫ মিটার লম্বা ৬৪৩ টন ওজনের এই রকেটটিকে শ্রীহরিকোটার দ্বিতীয় উৎক্ষেপণ কেন্দ্র (লঞ্চ প্যাড) থেকে আকাশে ছাড়া হয়। কৃত্রিম উপগ্রহ নির্ভর ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়াই লক্ষ্য ৩৬টি স্যাটেলাইটের। যা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের সবচেয়ে নীচের কক্ষপথ বা ‘লো আর্থ অরবিট’-য়ে প্রতিস্থাপিত হবে। ৩৬টি স্যাটেলাইটের মিলিত ওজন ৫৮০৫ কেজি। এর আগে পাঁচশোর বেশি কৃত্রিম উপগ্রহ অন্তরীক্ষে পাঠানোর বিরল রেকর্ড রয়েছে ইসরোর দখলে।