ইজরায়েলের প্রেসিডেন্ট রুয়েভেন
বিশ্বের সবচেয়ে দক্ষ গোয়েন্দা সংস্থা হিসেবে পরিচিত তারা। সন্ত্রাস রুখতে এ বার ইজরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা সেই মোসাদ-এর সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াবে ভারত।
আগামী মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে আসছেন ইজরায়েলের প্রেসিডেন্ট রুয়েভেন রিভলিন। সঙ্গে সে দেশের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের একটি বিশেষ দল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ দেশের বিভিন্ন শীর্ষকর্তার সঙ্গে বৈঠকে বসবেন রুয়েভেন। কথা হবে দু’দেশের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মধ্যেও। আগামি বছরের গোড়ায় মোদীর ইজরায়েলে যাওয়ার কথা। তার আগে নিরাপত্তা প্রযুক্তির প্রশ্নে তাদের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে চাইছে ভারত।
কূটনৈতিক সূত্রের খবর, ভারতের শীর্ষ পর্যায়ের কিছু আইপিএস অফিসারকে বাছাই করে ইজরায়েলে পাঠানোরও পরিকল্পনা করা হচ্ছে। যাঁদের মধ্যে থাকতে পারেন ‘অ্যান্টি টেরর স্কোয়াড’-এর অফিসাররাও। আনুষ্ঠানিক ভাবে বিষয়টি প্রকাশ্যে আনা সম্ভব নয় সাউথ ব্লকের পক্ষে। মোসাদের কাছ থেকে ভারতীয় অফিসারদের ঘরোয়া ভাবে প্রশিক্ষণ নেওয়াই এর মূল উদ্দেশ্য। সাধারণ ভাবে এই ধরনের কর্মসূচিকে শিক্ষাক্রমের অঙ্গ হিসেবেই দেখানো হয়।
মোসাদের সঙ্গে সহযোগিতার প্রসঙ্গ এই প্রথম নয়। তবে ভারত-পাক সম্পর্ক সম্প্রতি যে রকম উত্তেজক হয়ে উঠেছে— তার সাপেক্ষে ভারত-ইজরায়েলের কাছাকাছি আসাটা আঞ্চলিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও অর্থবহ বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা। ভারতে নিযুক্ত ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত ড্যানিয়েল ক্যামেরন জানান, আসন্ন দ্বিপাক্ষিক শীর্ষ বৈঠকে ভারত ও ইজরায়েলের ‘রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জ’ মোকাবিলা করা নিয়ে কথা হবে। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের সম্পর্কের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হল প্রতিরক্ষা। দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় প্রতিরক্ষা সমন্বয় ও আঞ্চলিক রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রসঙ্গও উঠে আসবে।’’ উরি হামলার প্রসঙ্গে পাকিস্তানের নাম না করেই ড্যানিয়েল বলেন, ‘‘আমাদের অবস্থান সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। সন্ত্রাস দমনে আমাদের পদক্ষেপের প্রতিফলন দেখা যেতে পারে ভারত-ইজরায়েল অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতার মধ্যেই।’’
ইজরায়েলের প্রেসিডেন্ট তাঁর দু’দিনের সফরের ফাঁকে কিছু সময়ের জন্য মুম্বইয়ে যাবেন। সেখানে পাক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বার্তাও দেবেন তিনি। ২৬/১১-র মুম্বই হামলায় নিহত ব্যক্তিদের স্মৃতিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে থাকবেন তিনি। রুয়েভেনের এই সফরে জলসম্পদ, কৃষি ও শিক্ষা ক্ষেত্রেও দু’দেশের মধ্যে বেশ কিছু চুক্তি এবং সমঝোতাপত্র সই হবে।