ফাইল চিত্র।
পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ভারতীয় কুলভূষণ যাদবের সঙ্গে কথা না বলেই কাল ফিরে এসেছিলেন ভারতীয় কূটনীতিকেরা। তাঁরা অভিযোগ করেছিলেন, কুলভূষণের সঙ্গে খোলা মনে কথা বলার সুযোগ পাননি তাঁরা। নয়াদিল্লির অভিযোগ ছিল, আন্তর্জাতিক আইন মানার প্রয়োজন মনে করেনি ইসলামাবাদ। ভারতের অভিযোগের পরে এ বার পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি আজ জানালেন, তৃতীয় বারের জন্য বন্দি কুলভূষণকে ‘কনসুলার অ্যাকসেস’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামাবাদ।
অর্থাৎ ভারতীয় কূটনীতিকেরা চাইলে আরও এক বার চরবৃত্তির অভিযোগে বন্দি প্রাক্তন ভারতীয় নৌসেনা কমান্ডারের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। তৃতীয় দফার এই সাক্ষাতে কোনও পাক আধিকারিক উপস্থিত থাকবেন না বলেও জানিয়েছেন পাক বিদেশমন্ত্রী। কাল পাকিস্তানি আধিকারিকদের উপস্থিতি আর ক্যামেরায় তাঁদের সব কথা রেকর্ডের বিষয়টি নিয়েই আপত্তি জানিয়েছিলেন ভারতীয় কূটনীতিকেরা। তাঁরা বলেছিলেন, পাক অফিসারদের সামনে কিছুতেই খোলা মনে কথা বলতে পারবেন না কুলভূষণ।
এই অভিযোগের পরেই আজ ফের কুলভূষণের সঙ্গে ভারতীয় কূটনীতিকদের দেখা করার সুযোগের কথা জানাল পাকিস্তান। পাক বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র আয়েশা ফারুকি আজ এক প্রথম সারির পাক টিভি চ্যানেলকে জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্তকে তাঁদের তরফে একটি সৌহার্দ্যসূচক পদক্ষেপ বলা যেতে পারে। পাক সংবাদমাধ্যমকে বিদেশমন্ত্রী কুরেশি বলেছেন, ''নিরাপত্তা আধিকারিকদের উপস্থিতি নিয়ে ভারতের আপত্তি থাকায় আমরা তাঁদের সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতিনিধিরা চাইলে আজ অথবা কাল কুলভূষণের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। আমরা প্রস্তুতই আছি।'' ভারত সরকারকে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছি কি না, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। রাত পর্যন্ত নয়াদিল্লি এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
কাল কুরেশি গোটা বিষয়টির দায় যদিও ভারতের ঘাড়েই ঠেলেছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, ‘‘কুলভূষণ কথা বলতে চাইলেও ভারতীয় কূটনীতিকেরাই কাল ওঁর সঙ্গে কথা না-বলে চলে গিয়েছিলেন। এর থেকেই ভারতের মনোভাব স্পষ্ট হয়ে যায়।’’