সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলার শুনানিতে আধার কার্ডের তথ্য ফাঁসের কথা স্বীকারও করে নিয়েছে কেন্দ্রীর সরকার। ছবি: সংগৃহীত।
আধার কার্ডের ফলে কি আপনার ব্যক্তিগত জীবন প্রকাশ্যে এসে পড়ছে? গোপনীয়তার অধিকার কি আদৌ নাগরিকের মৌলিক অধিকারগুলির মধ্যে পড়ে? আধার কার্ড নিয়ে শীর্ষ আদালতের কাছে একটি আবেদনে উঠে এসেছে এ ধরনের একগুচ্ছ প্রশ্ন। এবং এই প্রশ্নগুলির উত্তর দেবে সুপ্রিম কোর্টের ন’সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ।
গোপনীয়তার অধিকার নাগরিকের মৌলিক অধিকার নয় বলে আগেই রায় দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। ১৯৫৪ সালে সুপ্রিম কোর্টের আট সদস্যের বেঞ্চ এবং ’৬২-তে এর ছ’সদস্যের বেঞ্চের রায় ছিল, এই অধিকার মৌলিক অধিকার নয়। আধার কার্ড চালু হওয়ার পর থেকে এই সংক্রান্ত এক গুচ্ছ মামলায় বার বার উঠে এসেছে এই প্রসঙ্গ। কেন্দ্রীয় সরকারও ওই দুই রায়ের প্রসঙ্গ তুলে জানায়, নাগরিকের গোপনীয়তা সংবিধানে উল্লিখিত মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে না। এর পরেই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে আসতে হলে একটি বৃহত্তর বেঞ্চে তার শুনানি হোক। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি জে এস খেহরের নেতৃত্বে গঠিত পাঁচ সদস্যের এক বেঞ্চ জানিয়েছে, সেই রায় পুনর্বিবেচনা করার জন্য শুনানি শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন
সাতটি সূচ বের করা হল সাড়ে তিন বছরের সেই মেয়ের শরীর থেকে
আধার কার্ডের বহু তথ্যই ইতিমধ্যে ফাঁস হয়ে গিয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ আগেই উঠেছিল। ফলে প্রকাশ্যে এসে পড়ছে নাগরিকের ব্যক্তিগত জীবন। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলার শুনানিতে তথ্য ফাঁসের কথা স্বীকারও করে নিয়েছে কেন্দ্রীর সরকার। এ দিন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি জে এস খেহর বলেন, “সংবিধানের মৌলিক অধিকারের মধ্যে গোপনীয়তার অধিকার পড়ে কি না তা নির্ধারণ করাটা আমাদের কাছে বেশ জরুরি হয়ে পড়েছে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, আধার নিয়ে কোনও রায় দেওয়ার আগে মৌলিক অধিকারের বিষয়টি স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন। শীর্ষ আদালতের ন’সদস্যের বেঞ্চে বুধবারই এই নিয়ে শুনানি শেষ হওয়ার কথা।