ফাইল চিত্র।
রাজ্যের শিল্প সম্মেলনে (বিজিবিএস) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আসবেন কি না, সেই প্রশ্ন আরও গভীর হল। কারণ, সোমবার সম্মেলনের যে আমন্ত্রণপত্র প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে প্রধানমন্ত্রীর নাম নেই। তা থেকেই প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক মহলে চর্চা চলছে।
২০-২১ এপ্রিল বিশ্ব বাংলা কনভেনশন কেন্দ্রে বসতে চলেছে বিজিবিএস-এর আসর। তার আমন্ত্রণপত্রে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা অমিত মিত্র, শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নাম রয়েছে। প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, প্রধানমন্ত্রী যদি আসতেন অথবা ভার্চুয়াল মাধ্যমে সম্মেলনে যোগ দিতেন, তা হলে তাঁর নাম আমন্ত্রণপত্রে থাকা বাঞ্ছনীয় ছিল।
প্রসঙ্গত, ভবানীপুর উপনির্বাচনের আগে দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বিজিবিএস-এ আসতে অনুরোধ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। তার পরে সময়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আসার সম্ভাবনা ক্রমশ উজ্জ্বল হচ্ছিল। কিন্তু গত বেশ কয়েকদিন ধরে প্রশাসনিক মহলে এ নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য শোনা যায়নি। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকেও ইতিবাচক কোনও বার্তা পাওয়া যায়নি বলেই নবান্ন সূত্রের খবর। কয়েকদিন আগে সম্মেলন স্থলে মুখ্যসচিব এবং প্রশাসনের অন্য কর্তাদের প্রস্তুতি বৈঠক হয়। পরে নিরাপত্তা বন্দোবস্ত নিয়ে প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে পুলিশ। সূত্রের দাবি, সেই বৈঠকেও প্রধানমন্ত্রীর আসা নিয়ে কোনও প্রস্তুতির আলোচনা হয়নি।
প্রশাসনিক বিশেষজ্ঞদের অনেকেই জানাচ্ছেন, প্রধানমন্ত্রীর মতো ভিভিআইপি এলে নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে সাধারণত পৃথক ভাবে সমন্বয় করে এসপিজি। এ ক্ষেত্রে তেমন কিছুও হয়নি। সেই কারণেই তাঁর আসা নিয়ে জল্পনা তীব্র হয়েছে।
এ দিকে, শিল্প সম্মেলনের মঞ্চ থেকেই লক্ষ্মী ভাণ্ডারের পাঁচ লক্ষ নতুন উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টাকা পৌঁছনোর কথা বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। জেলা প্রশাসনগুলিকে বলা হয়েছে, সে দিন জেলা সদরে উপভোক্তাদের কয়েকজনকে উপস্থিত করতে। প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের অনেকে মনে করছেন, সামাজিক ক্ষেত্রে তৃণমূল সরকার ইতিবাচক কী পদক্ষেপ করছে, তারই প্রতিফলন শিল্প মহলের সামনে তুলে ধরতে চাইছে রাজ্য।