ছবি: সংগৃহীত।
জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে এ বারে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতিদের এক মঞ্চে আনতে চাইছে বিজেপি।
বিজেপি সূত্রের দাবি, সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি টি এস ঠাকুর, বিচারপতি জগদীশ সিংহ খেহরের মতো প্রাক্তন প্রধান বিচারপতিদের সঙ্গেও আলোচনা চলছে। আর এক প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি কে জি বালকৃষ্ণনের সঙ্গেও কথা হতে পারে বলে জানাচ্ছে বিজেপি শিবির। ১৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাব অথবা অম্বেডকর ইন্টারন্যাশানাল সেন্টারে একটি অনুষ্ঠান করে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সম্মেলন করার কথা ভাবা হচ্ছে।
বিজেপির এক নেতার কথায়, ‘‘প্রাক্তন প্রধান বিচারপতিদের কাছে অনুরোধ করা হচ্ছে, তাঁরা যদি জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তার নানা দিক ব্যাখ্যা করেন। অনেক প্রাক্তন বিচারপতিও এই নিয়ে কথা বলতে উৎসাহী। তাঁদের সঙ্গেও কথা হচ্ছে।’’ চলতি সপ্তাহের গোড়াতেই সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত বলেছিলেন, ‘‘জনসংখ্যা যেমন দেশের সম্পদ, তেমন সমস্যাও। সকলের সঙ্গে কথা বলে সরকারের উচিত জনসংখ্যা নীতি বানানো। এই বিষয়ে আরএসএস একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে।’’
তবে আরএসএসের প্রস্তাবে দেখা যাচ্ছে, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণকে তারা ধর্মের সঙ্গেই জুড়েছে। লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে প্রথম বার আবেদন করেন, সেই সময় কংগ্রেসের অনেক নেতাও খোলাখুলি তাকে সমর্থন করেন। কিন্তু অচিরে বিরোধী দলগুলি বুঝতে পারছে, নাগরিকত্ব আইনের মতো জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়েও আসলে মেরুকরণের রাজনীতি করতে চায় গেরুয়া শিবির। এখানেও ‘হিন্দু-মুসলিম’ করার চেষ্টা হচ্ছে। সঙ্ঘের প্রস্তাবে খোলাখুলি দাবি করা হচ্ছে, মুসলমানদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বাকিদের তুলনায় বেশি।
আরও পড়ুন: বিজয়বর্গীয়কে কটাক্ষ সোশ্যাল মিডিয়ায়
বিজেপির এক নেতা বলেন, ‘‘সরকার এই নিয়ে দ্রুত একটি আইন আনার পক্ষে। তাই প্রধানমন্ত্রী লালকেল্লা থেকে আবেদন করেছেন। এখন বিষয়টি নিয়ে মামলাও হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। আর শীর্ষ আদালতও কেন্দ্রকে নোটিস দিয়ে তাদের অবস্থান জানতে চেয়েছে। নীতি আয়োগ একটি খসড়া প্রস্তাব তৈরিই রেখেছে। জনমত তৈরিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতিরাও এ বারে এগিয়ে এলে বিষয়টির গুরুত্ব বাড়বে।’’