National News

বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানোয় অজিত কি দলত্যাগ বিরোধী আইনের প্যাঁচে পড়বেন?

বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানোর পর তিনি  কি দলত্যাগ বিরোধী আইনের প্যাঁচে পড়বেন? অজিতের এই পদক্ষেপ সাংবিধানিক ভাবেই বা কতটা বৈধ?

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০১৯ ১৯:৫৫
Share:

অজিতের এই পদক্ষেপ সাংবিধানিক ভাবেই কতটা বৈধ? উঠছে প্রশ্ন। —পিটিআইয়ের তোলা ফাইল চিত্র।

মহারাষ্ট্রে দেবেন্দ্র ফডণবীস সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়া অজিত পওয়ার আপাতত রাজনৈতিক চর্চার কেন্দ্রে। তবে এই আবহে তাঁর বিধায়ক পদ থাকা, না-থাকার ভাগ্য নিয়েও উঠছে নানা প্রশ্ন। বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানোর পর তিনি কি দলত্যাগ বিরোধী আইনের প্যাঁচে পড়বেন? অজিতের এই পদক্ষেপ সাংবিধানিক ভাবেই বা কতটা বৈধ?

Advertisement

সংবিধান বিশেষজ্ঞ তথা লোকসভার প্রাক্তন সেক্রেটারি জেনারেল পিডিপি আচার্যের মতে, বিজেপির সঙ্গে অজিতের হাত মেলানোর এই পদক্ষেপ তত ক্ষণই তাঁকে বেকায়দায় ফেলবে না, যত ক্ষণ না তাঁর দলে কোনও ভাঙন ধরছে। অর্থাৎ তিনি যদি দল ছেড়ে বেরিয়ে আসেন, তবেই তাঁর পদক্ষেপ সাংবিধানিক বৈধতার গণ্ডি ছাড়াবে। পড়বেন দলত্যাগ বিরোধী আইনের প্যাঁচেও। পিডিপি আচার্য বলেন, ‘‘দলত্যাগ বিরোধী আইনটি এ ক্ষেত্রে শর্তসাপেক্ষে প্রযোজ্য। তর্কের মূল বিষয়টি হল, এনসিপি ছেড়ে অজিত পওয়ার বেরিয়ে এসেছেন কি, আসেননি? যদি তিনি দল ছেড়ে বেরিয়ে আসেন, তবেই এই আইনটি তাঁর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।’’ দলত্যাগ বিরোধী আইন এড়াতে কী করতে হবে তাঁকে? আচার্য জানিয়েছেন, সে ক্ষেত্রে অজিতকে দেখাতে হবে তিনি অখণ্ড এনসিপিতেই আছেন।

শনিবার সাতসকালেই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফডণবীস। রাজভবনের ওই অনুষ্ঠানে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন এনসিপির অজিত পওয়ারও। তবে এই পদক্ষেপকে অজিতের ব্যক্তিগত বলে আখ্যা দেন শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি জোটের অন্যতম কাণ্ডারী তথা অজিতের কাকা শরদ পওয়ার। এটি যে এনসিপির সিদ্ধান্ত নয়, সে দাবিও করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে তাঁর ঘোষণা, শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বেই রাজ্যে সরকার গড়বে জোট।

Advertisement

আরও পড়ুন: বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানোয় অজিত কি দলত্যাগ বিরোধী আইনের প্যাঁচে পড়বেন?

আরও পড়ুন: জনমত না মেনে পিছনের দরজা দিয়ে সরকার করাটা গণতন্ত্র? পাল্টা প্রশ্ন বিজেপির​

আরও পড়ুন: সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, বললেন উদ্ধব || শিবসেনার নেতৃত্বেই সরকার হবে, ‘নিশ্চিত’ শরদ​

তবে মহারাষ্ট্রে বিধানসভা শুরু না হওয়া সত্ত্বেও কি অজিতের এই পদক্ষেপ তাঁকে বিপাকে ফেলতে পারে? আচার্য বলেন, ‘‘নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণামাত্রই নির্বাচন কমিশন তার ফলাফল নিয়ে নোটিফিকেশন জারি করে। তার পর আপনা থেকেই বিধানসভা গঠিত হয়ে যায়।’’ তিনি জানিয়েছেন, কোনও বিধায়ক যদি স্বেচ্ছায় কোনও দলের সদস্যপদ ছেড়ে দেন তবে তাঁর বিরুদ্ধে ওই আইনের প্রয়োগ করা যেতে পারে। তবে এই আইন অনুসারে, স্বেচ্ছায় দল ছাড়া কিন্তু ইস্তফা দেওয়ার সমান নয়। আইনে আরও বলা হয়েছে, যদি কোনও বিধায়ক তাঁর দল ছেড়ে অন্য কোনও দলে যোগ দেন, সে ক্ষেত্রে পুরনো দলের দুই-তৃতীয়াংশ বিধায়ককে নিয়েই সেখানে যেতে হবে,নইলে দলত্যাগ বিরোধী আইনের আওতায় চলে আসবেন। ফলে সে ক্ষেত্রে দলত্যাগ বিরোধী আইনের ফাঁদ এড়াতে অজিত পওয়ারকে দলের দুই-তৃতীয়াংশ অর্থাৎ ৩৬ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে, এমনটা প্রমাণ করতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement