Iran

Iran fraud: গোয়েন্দা আধিকারিক সেজে রাজধানীর বুকে ছিনতাই, পুলিশের জালে ইরানের নাগরিক

পুলিশ সূত্রে খবর, হোসেন সেই সমস্ত লোকেদেরই নিশানা করতেন, যাঁরা চিকিৎসা করাতে এ দেশে এসেছেন, এবং মানসিক ভাবে বিপন্ন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

Advertisement

সংবাদসংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২২ ১৯:২২
Share:

প্রতীকী ছবি।

পুলিশ বা গোয়েন্দা সেজে প্রতারণার কারবারের কথা শোনা যায় প্রায়ই। কিন্তু বিদেশ থেকে এসে গোয়েন্দা আধিকারিক সেজে বিদেশিদেরই হাতসাফাইয়ের ঘটনা বিশেষ একটা শোনা যায় না। এমনই ঘটনায় এক ইরানের নাগরিককে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। ধৃতের এ দেশীয় সঙ্গীদের খোঁজে চলছে তল্লাশি।

Advertisement

গত ২১ মে, ইরানের বাসিন্দা ৪৬ বছরের হোসেন রেজাফার্দ আহমেদ ভারতে আসেন চিকিৎসা ভিসায়। এ দেশে নেমেই চিকিৎসা করানোর ভিসা নিয়ে ভারতে আসা বিদেশিদের লুটের ছক কষে ফেলেন তিনি। যোগাড় করেন আরও দুই সঙ্গীকে। ভাড়া করেন গাড়ি। শুরু হয় চিকিৎসা করাতে দিল্লিতে আসা বিদেশিদের হাতসাফাইয়ের কারবার।

অভিযোগ, গত ১৬ জুন দিল্লির লাজপতনগর এলাকায় একটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, বিদেশ থেকে দিল্লির হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন এক দম্পতি। গত বৃহস্পতিবার তাঁরা গ্রেটার কৈলাসের একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা করিয়ে বেরোতেই মাঝ রাস্তায় তাঁদের গাড়ির পথ আটকায় অন্য একটি গাড়ি। গাড়ি থেকে নেমে আসেন তিন জন। নিজেদের পরিচয় দেন গোয়েন্দা আধিকারিক হিসেবে। বিদেশি দম্পতির ব্যাগ তল্লাশি করেন, এবং তার পর আবার হাওয়া হয়ে যান। ‘গোয়েন্দা’রা চলে যেতেই ব্যাগ খুলে বিদেশি দম্পতি দেখেন খোয়া গিয়েছে ভারতীয় মুদ্রায় ৫০ হাজার টাকা এবং সাড়ে ছ’হাজার আমেরিকার ডলার। বিদেশবিভুঁইয়ে এ ভাবে প্রতারণার শিকার হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁরা।

Advertisement

পুলিশ সিসিটিভি ক্যামেরা দেখে গাড়িটিকে চিহ্নিত করেন। তার পর গাড়ির মালিকের কাছে পৌঁছয় পুলিশ। ওই ব্যক্তি জানান, মাস তিনেক আগেই গাড়িটি বিক্রি করে দিয়েছেন জনৈক নবাবের কাছে। নবাবের ফোন নম্বর ট্র্যাক করে সন্ধান মেলে হোসেনের। তবে তাঁর দুই এ দেশীয় সঙ্গী এখনও পলাতক। পুলিশের দাবি, খুব দ্রুতই ধরা পড়বেন তাঁরাও।

হোসেনের কাছে থেকে দু’হাজার আমেরিকার ডলার, চার হাজার সুদানের পাউন্ড, ২৮ হাজার ইরানের রিয়াল, ২০০ সৌদি রিয়াল এবং পাঁচ হাজার ভারতীয় টাকা উদ্ধার হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে গাড়িটিও।

পুলিশ সূত্রে খবর, হোসেন সেই সমস্ত লোকেদেরই নিশানা করতেন, যাঁরা চিকিৎসা করাতে এ দেশে এসেছেন, এবং মানসিক ভাবে বিপন্ন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement