চারু সিন্হা।
২০১৯ বিহার, লিঙ্গবৈষম্য দূর করার কর্মশালায় সিআরপিএফ বাহিনী। উদ্দেশ্য? চিরাচরিত ভাবনাকে ভেঙে নতুন ভাবে পারিবারিক সম্পর্কগুলোকে দেখা। কার মস্তিস্কপ্রসূত এই ভাবনা?
চারু সিন্হা, ১৯৯৬ ব্যাচের আইপিএস অফিসার। যাঁর নেতৃত্বে একাধিক মাওবাদী দমন অভিযান সফল হয়েছে বিহারে। এ বার তাঁর দায়িত্ব জঙ্গি দমন। শ্রীনগর সেক্টরের সিআরপিএফের আইজি হচ্ছেন তিনি। প্রথম বার এই পদে কোনও মহিলা। পুরুষদের সঙ্গে সমান তালে পা মিলিয়ে চলাতেই বিশ্বাসী চারু। সহকর্মীদের মতে, কাজের প্রতি দায়বদ্ধতাই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য। শ্রীনগর সেক্টর জম্মু-কাশ্মীরের সন্ত্রাস কবলিত এলাকাগুলির অন্যতম। চারুর দায়িত্ব এখন কাশ্মীরের জঙ্গি দমন।
কে এই চারু সিনহা? ইংরেজি, ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান তিনটি বিষয় ছিল স্নাতকস্তরে। রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়েই স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ১৯৮৯ বাবার দেওয়া একটি বই চারুর জীবনে দেখাল আর এক দিক। পরমহংস যোগানন্দের আত্মজীবনী 'দি অটোবায়োগ্রাফি অব আ যোগী' জাগিয়ে তুলল তাঁর আধ্যাত্মিক সত্তা। অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলঙ্গানার নকশাল ও মাওবাদী দমনেই কেটেছে বেশির ভাগ সময়। ২০১০ –এ তিনি যোগ দেন বিহারের অনন্তপুর রেঞ্জে ডেপুটি আইজি পদে। ২০১৫ –তে তেলঙ্গানার দুর্নীতি দমন শাখার ডিরেক্টর হিসেবে যোগ দেন তিনি। ২০১৮ সালে সিআরপিএফ-এর আইজি পদে উন্নীত হন চারু। বিহার, তার পর জম্মুর দায়িত্ব সামলে। এখন তিনি শ্রীনগর সেক্টরের সিআরপিএফ-এর আইজি।
আরও পড়ুন: ‘অরুণাচলকে স্বীকৃতিই দেয়নি চিন’, সঙ্ঘাত উস্কে ফের মন্তব্য বেজিংয়ের
আরও পড়ুন: হাইপারসনিক যুগের সূচনা, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি যানের সফল পরীক্ষা
২০০৫ সালে তৈরি হয় শ্রীনগর সেক্টর। এই সেক্টরে প্রথম বারের জন্য আইজি পদে এলেন কোনও মহিলা।