আদালত থেকে জেলের পথে পি চিদম্বরম। বৃহস্পতিবার। ছবি: পিটিআই
সিবিআই হেফাজতের ভিআইপি সুট ছেড়ে তিহাড় জেলে থাকার চিন্তা রয়েছে। আইএনএক্স মিডিয়া মামলা কিংবা এয়ারসেল-ম্যাক্সিস মামলায় আইনি লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত কী হবে, তা নিয়ে রয়েছে পাহাড় প্রমাণ উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। কিন্তু সে সব ছেড়ে পি চিদম্বরমের মূল ‘দুশ্চিন্তা’দেশের অর্থনীতি নিয়ে। বুধবার বিশেষ সিবিআই আদালতে সাংবাদিকদের এ কথা বলে জেল যাত্রার আগেও বেহাল অর্থনীতি নিয়ে কেন্দ্রকে খোঁচা দিতে ছাড়লেন না দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে ইডির হাতে গ্রেফতারিতে চিদম্বরমের রক্ষাকবচের আর্জি খারিজ হয়ে যায় সুপ্রিম কোর্টে। আবার এ দিনই হেফাজতের মেয়াদ শেষে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীকে বিশেষ সিবিআই হেফাজতে পেশ করে সিবিআই। সেখানেও বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। ফলে জেল যাত্রা প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়। এর পর জেলে যাওয়া আটকাতে সুপ্রিম কোর্টে চিদম্বরম আর্জি জানান, ইডির কাছে আত্মসমর্পণ করতে চান তিনি। কিন্তু সেই আবেদনের শুনানির দিন ১২ সেপ্টেম্বর ধার্য করে শীর্ষ আদালত। ফলে চিদম্বরমকে যে জেলে যেতেই হচ্ছে, সেটা নিশ্চিত হয়ে যায়।
এর পর আদালত থেকে তাঁকে তিহাড় জেলে নিয়ে যাওয়ার জন্য বার করার সময় সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় কোর্টের নির্দেশ নিয়ে তিনি কিছু বলতে চান কিনা। সেই প্রশ্নের উত্তরেই চিদম্বরম বলেন, ‘‘আমি শুধু অর্থনীতি নিয়েই চিন্তিত।’’
আর্থিক বৃদ্ধির হার গত ছ’বছরে সর্বনিম্ন। নেমে এসেছে ৫ শতাংশে। গাড়ি প্রস্তুতকারী শিল্পগুলি সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে কর্মী ছাঁটাই, উৎপাদন বন্ধের পথে হাঁটছে। অন্যান্য শিল্পক্ষেত্রেও অশনি সঙ্কেত। সব মিলিয়ে অর্থনীতিতেই মন্দ গতি। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী যে ছোট্ট একটি বাক্যেও সেই বিষয়টিতেই খোঁচা দিয়েছেন বর্তমান মোদী সরকারকে, সে বিষয়ে মতপার্থক্য নেই পর্যবেক্ষকদের।
আরও পড়ুন: তিহাড় জেলেই যেতে হচ্ছে পি চিদম্বরমকে, আইএনএক্স মামলায় ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ
আরও পডু়ন: রাশিয়ার ‘বিকাশে’ ঋণ, সাত হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করলেন নরেন্দ্র মোদী