Delhi CRPF School Blast

উদ্দেশ্য ছিল ১০ ফুট দূরত্ব পর্যন্ত ‘শকওয়েভ’ তৈরির! বিস্ফোরণের লক্ষ্য ছিল দিল্লির সেনা স্কুল?

রবিবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ রোহিণীর প্রশান্ত বিহার এলাকার সিআরপিএফ স্কুলের সামনে বিস্ফোরণ হয়। সাদা ধোঁয়ায় ঢেকে যায় স্কুলের আশপাশ। বিশাল এলাকা জুড়ে কম্পন অনুভূত হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:৫২
Share:

দিল্লির সেনা স্কুলের সামনে বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থল পরীক্ষা করে দেখছে তদন্তকারী দল। ছবি: পিটিআই।

দিল্লির রোহিণীতে সিআরপিএফ স্কুলের সামনে যে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে, সেটি ‘ডায়রেকশনাল ব্লাস্ট’ বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। অর্থাৎ বিস্ফোরণের প্রভাব যাতে অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে, সেই কৌশলই ব্যবহার করা হয়েছে এ ক্ষেত্রে। সূত্রের খবর, বিস্ফোরক এমন ভাবে রাখা হয়েছিল যাতে ১০ ফুট দূর পর্যন্ত একটি ‘শকওয়েভ’ সৃষ্টি হয়। ফলে ক্ষতির পরিমাণ বেশি হবে। বিস্ফোরকে ‘রিফ্লেকটিভ প্রেসারের’ মাধ্যমে বিশাল এলাকা জুড়ে কম্পন সৃষ্টির কৌশল ব্যবহার করা হয়েছিল রোহিণীর এই বিস্ফোরণের ক্ষেত্রে।

Advertisement

তদন্তকারী সংস্থার একটি সূত্রে খবর, এ রকম ঘটনায় কঠিন এবং তরল পদার্থের মধ্যে উচ্চচাপ সৃষ্টি করে গ্যাসে পরিণত করা হয়। বিস্ফোরণের পর সেই গ্যাস দ্রুতগতিতে চার দিকে ছড়িয়ে পড়ে। আর তার জেরে শক্তিশালী একটি কম্পন অনুভূত হয়। যা আশপাশের এলাকায় শব্দের চেয়ে বেশি গতিতে পৌঁছয়। ফলে ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি হয়। আর সে কারণেই বিস্ফোরণের পর পরই বেশ কয়েকটি বাড়ি এবং গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। পাশাপাশি সিআরপিএফ স্কুলের দেওয়ালেও ফাটল ধরে যায়।

সূত্রের খবর, বিস্ফোরণের প্রকৃতি দেখে তদন্তকারীরা মনে করছেন পুরো পরিকল্পনা করেই ‘ডায়রেকশনাল’ বিস্ফোরণ করানো হয়েছে। এই ঘটনার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক দিল্লি পুলিশের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে। বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু করেছে দিল্লি পুলিশ। দ্রুত এই মামলাকে বিশেষ দলের (স্পেশ্যাল সেল) হাতে তুলে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই এই বিস্ফোরের ঘটনায় তদন্ত করছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ), সিআরপিএফ, ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (এনএসজি) এবং ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি (এফএসএল)।

Advertisement

রবিবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ রোহিণীর প্রশান্ত বিহার এলাকার ওই স্কুলের সামনে বিস্ফোরণ হয়। সাদা ধোঁয়ায় ঢেকে যায় স্কুলের আশপাশ। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বিস্ফোরণের পর বিকট একটি গন্ধে ভরে যায় এলাকা। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। তবে এই বিস্ফোরণে আশপাশের কয়েকটি দোকানের কাচ, রাস্তায় দাঁড় করানোর কয়েকটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কেউ হতাহত হননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement