অগ্নিগর্ভ মণিপুর। ছবি: সংগৃহীত।
জাতিদাঙ্গা দীর্ণ মণিপুরে দু’মাস পর ফিরল ইন্টারনেট পরিষেবা। তবে আংশিক। মণিপুর সরকারের তরফে নির্দেশিকা দিয়ে বলা হয়েছে, যাঁদের স্থায়ী ব্রডব্র্যান্ড সংযোগ রয়েছে, তারাই কেবল ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। মোবাইলে এখনই ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া যাবে না। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য সরকারের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোন কোন আইপি সংযোগ থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হচ্ছে তা পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাকে নজর রাখতে হবে। অন্যথা হলে তার দায়ও বর্তাবে সংশ্লিষ্ট সংস্থার উপর। মণিপুর সরকার ইন্টারনেট পরিষেবা সংক্রান্ত যে নির্দেশিকা জারি করেছে তার মোদ্দা বিষয়— ডেস্কটপ ছাড়া অন্য কোনও ডিভাইসে ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া যাবে না। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, ব্যবহারকারীদের ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) সফ্টঅয়্যার কম্পিউটার থেকে আনইনস্টল করে দিতে হবে। আপাতত নতুন করে তা ইনস্টলও করা যাবে না। কোনও কৌশলে যাতে ইন্টারনেটের অপব্যবহার না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক এন বীরেন সিংহের সরকার।
এই তথ্য বিস্ফোরণের যুগে এত দিন ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ নিয়ে মণিপুরের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। সোমবার মণিপুর নিয়ে সংসদের ধর্না কর্মসূচিতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র আক্রমণ শানিয়েছিলেন বিজেপিকে। তাঁর প্রশ্ন ছিল, বিজেপি বাংলা নিয়ে এত কথা বলছে, মণিপুরে দু’মাস ধরে ইন্টারনেট বন্ধ কেন? জনজাতিদের দুই গোষ্ঠী কুকি ও মেইতেইদের সংঘর্ষে উত্তাল মণিপুর। সেনা নামিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। নাগরিক নিরাপত্তা কার্যত শিকেয় উঠেছে। তবে দু’মাস আগে দুই মহিলাকে নগ্ন করে হাঁটানোর ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পর যেন আগুনে ঘি পড়ে। এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ৭৮ দিন পর নীরবতা ভাঙতে হয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে মণিপুরে আংশিক ইন্টারনেট পরিষেবা ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিল সরকার।
জনজাতিদের দুই গোষ্ঠী কুকি ও মেইতেইদের সংঘর্ষে উত্তাল মণিপুর। সেনা নামিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। নাগরিক নিরাপত্তা কার্যত শিকেয় উঠেছে। তবে দু’মাস আগে দুই মহিলাকে নগ্ন করে হাঁটানোর ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পর যেন আগুনে ঘি পড়ে। এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ৭৮ দিন পর নীরবতা ভাঙতে হয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে মণিপুরে আংশিক ইন্টারনেট পরিষেবা ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিল সরকার।