নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।
আজ সেই দিন। ৮ মার্চ। আন্তর্জাতিক নারী দিবস। পূর্ব ঘোষণা মতোই নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ‘নারী শক্তি’র হাতে ছেড়ে দিয়ে দিনটিকে দেশের তাঁদের প্রতি উত্সর্গ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার সকালেই তিনি টুইট করেন, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে ‘সাইন অফ’ করছি। সাত জন কৃতী মহিলার হাতে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট তুলে দিচ্ছি। তাঁরাই আজ নিজেদের জীবনের গল্প ভাগ করে নেবেন সকলের সঙ্গে।
মোদী এ দিন টুইট করে আরও বলেন, “আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে স্বাগত। আমাদের নারীশক্তির উদ্যম ও কৃতিত্বকে কুর্নিশ জানাই। কয়েক দিন আগেই বলেছিলাম সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলো দিয়ে দেব। আজ সাত কৃতী নারীর হাতে সেই অ্যাকাউন্টগুলো তুলে দিচ্ছি। এই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে আজ তাঁরা নিজের জীবনযুদ্ধের কাহিনি ভাগ করে নেবেন সকলের সঙ্গে।”
প্রধানমন্ত্রীর টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে প্রথম টুইটটি করেন স্নেহা মোহনদাস। তিনি ‘ফুড ব্যাঙ্ক ইন্ডিয়া’র প্রতিষ্ঠাতা। স্নেহা বলেন, “ এত দিন ফুড ফর থট শব্দবন্ধের সঙ্গে পরিচিত ছিলাম আমরা। এখন সময় এসেছে কাজ করে দেখানোর। গরিবদের উন্নত ভবিষ্যতের জন্য। আমি স্নেহা মোহনদাস। গৃহহীনদের অন্ন দান করার অনুপ্রেরণা পেয়েছি মায়ের কাছ থেকে। সেই অনুপ্রেরণা থেকেই উদ্যোগী হয়েছি ফুড ব্যাঙ্ক ইন্ডিয়া গড়ে তুলতে।”
গত ৩ মার্চ সন্ধ্যায় মোদী হঠাত্ই টুইট করেন, “রবিবার থেকে ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউবে নিজের সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার কথা ভাবছি। (এ বিষয়ে) আপনাদের সকলকে জানাব।’’ মোদীর এই টুইটের পরই হইচই পড়ে যায় রাজনীতিক থেকে আমজনতার মধ্যে। জল্পনা শুরু হয়ে যায় তা হলে কি সত্যিই মোদী সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সন্ন্যাস নিচ্ছেন!
চার দিকে যখন তাঁর টুইট নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে, মোদী ফের তাঁর টুইটের টুইস্টে চমকে দেন সকলকে। ওই টুইটে তিনি জানান, সন্ন্যাস নিচ্ছেন না। বরং তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলো হাতবদল করতে চলেছেন। বলেন, “আগামী ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে নিজের অ্যাকাউন্টগুলি এমন কিছু মহিলার হাতে তুলে দেবেন তিনি, যাঁদের জীবন এবং কাজ সকলকে অনুপ্রাণিত করে।”
আরও পড়ুন: ‘প্রধানমন্ত্রীর কথা আমার চেয়ে ভাল আর কে জানেন?’
আরও পড়ুন: আমার ভেতরের নারীকে গড়া আজও শেষ হয়নি