Cafe Coffee Day

সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার স্বপ্ন ফেলে ১৪০ বছরের প্রাচীন পারিবারিক ব্যবসার হাল ধরেই কফি-ব্যারন

১৯৫৯ সালে সিদ্ধার্থর জন্ম কর্নাটকের চিকমাগালুর জেলার বর্ধিষ্ণু ব্যবসায়ী পরিবারে। তাঁদের পারিবারিক মালিকানাধীন কফি বাগিচা ছিলই। তরুণ বয়স থেকেই কফি ব্যবসার সঙ্গে পরিচিত ছিলেন সিদ্ধার্থ। তাঁর হাত ধরেই উত্তরণের দিশা দেখেছিল পুরনো ব্যবসা। ১৯৯৪ সালে বেঙ্গালুরুর ব্রিগেড রোডে আত্মপ্রকাশ ‘কাফে কফি ডে’-এর। বর্তমানে দেশে ও বিদেশে তাদের আউটলেট প্রায় ১৭৫০টি।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০১৯ ১৫:০৩
Share:
০১ ১০

তাঁর হাত ধরেই চা-প্রধান এই দেশের নতুন প্রজন্মের কফি পীঠস্থান হয়ে উঠেছে ‘কাফে কফি ডে’। মার্কিন সংস্থা ‘স্টার বাকস’-এর ভারতীয় সংস্করণ বলা হয় একে। যাঁর মানসসন্তান এই সংস্থা, সেই ভি জি সিদ্ধার্থের পারিবারিক পুরনো ব্যবসাই ছিল কফি ও কফি-বাগিচা সংক্রান্ত।

০২ ১০

১৯৫৯ সালে সিদ্ধার্থের জন্ম কর্নাটকের চিকমাগালুর জেলার বর্ধিষ্ণু ব্যবসায়ী পরিবারে। তরুণ বয়স থেকেই কফি ব্যবসার সঙ্গে পরিচিত ছিলেন সিদ্ধার্থ।

Advertisement
০৩ ১০

তাঁর হাত ধরেই উত্তরণের দিশা দেখেছিল পরিবারের পুরনো কফি-ব্যবসা। ১৯৯৪ সালে বেঙ্গালুরুর ব্রিগেড রোডে আত্মপ্রকাশ ‘কাফে কফি ডে’-এর। বর্তমানে দেশে ও বিদেশে তাদের আউটলেট প্রায় ১৭৫০টি।

০৪ ১০

সিদ্ধার্থের স্বপ্ন ছিল, সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার। ম্যাঙ্গালুরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর সিদ্ধার্থ কিছু দিন মুম্বইয়ে ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কার হিসেবে কাজ করার পরে পারিবারিক ব্যবসার দায়িত্ব নেন। সিদ্ধার্থর স্ত্রী মালবিকাও কাফে কফি ডে-র সঙ্গে যুক্ত।

০৫ ১০

তাঁদের পরিবারের কফি ব্যবসা প্রায় ১৪০ বছরের পুরনো। ১৯৯৩ সালে সিদ্ধার্থ কফি ট্রেডি‌ং সংস্থা ‘অ্যামালগ্য়ামেটেড বিন কম্পানি’ বা ‘এবিসি’ প্রতিষ্ঠা করেন। সিদ্ধার্থের হাতে এই ব্যবসা দ্রুত আর্থিক বৃদ্ধির শিখরে ওঠে। সম্প্রতি এর বার্ষিক টার্নওভার ছিল ১ লক্ষ ৭২ হাজার কোটি টাকারও বেশি।

০৬ ১০

এবিসি এই মুহূর্তে দেশের সর্বোচ্চ গ্রিন কফি রফতানিকারী সংস্থা। দক্ষিণ ভারত জুড়ে দুশোটি এক্সক্লুসিভ আউটলেটে বিক্রি হয় ‘কফি ডে স্পেশাল’ কফি গুঁড়ো।

০৭ ১০

ব্যবসার পরিধি বাড়িয়ে সিদ্ধার্থ পা রেখেছেন তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রেও। তাঁর প্রতিষ্ঠিত সংস্থার নাম ‘গ্লোবাল টেকনোলজি ভেঞ্চার্স’।অর্থনৈতিক সংস্থা, উড প্রসেসিং সংস্থা ও হসপিটালিটি ব্যবসাও রয়েছে এই কফি ব্যারনের মালিকানায়।

০৮ ১০

সিসিডি-র আউটলেটের চাকচিক্য দেখে বোঝা না গেলেও ইদানীং সিদ্ধার্থের ব্যবসায় আর্থিক মন্দা চলছিল। কয়েক মাস আগে তিনি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার শেয়ারের বড় অংশ বিক্রি করে দেন লারসেন অ্যান্ড টুবরো-কে। বিশাল ঋণভার থেকে কিছুটা মুক্তি পেতেই এই পদক্ষেপ।

০৯ ১০

তারপরেও আর্থিক সমস্যা থেকেই গিয়েছিল সংস্থার। পাশাপাশি যুক্ত হয়েছিল আয়করজনিত সমস্যাও। ২০১৭ সালে সিদ্ধার্থের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ২০টি ভবনে তল্লাশি চালায় আয়কর দফতর। সিদ্ধার্থের রহসমৃত্যুতে আয়কর আধিকারিকদের বিরুদ্ধে উঠেছে তাঁকে হেনস্থা করারও অভিযোগ।

১০ ১০

কাফে কফি ডে সংস্থার ট্যাগলাইন ‘এ লট ক্যান হ্যাপেন ওভার এ কাপ অফ কফি’। কর্ণধার ভি জি সিদ্ধার্থের অপমৃত্যুতে কফির কাপ ঘিরে সত্যিই ঘটে গিয়েছে অনেক কিছু।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement