Manipur Violence

মণিপুর হিংসার তদন্তে ‘সিট’ গড়ল সিবিআই, জঙ্গি হামলায় মহিলা-সহ নিহত আরও তিন!

মণিপুরে হিংসা ঠেকাতে ব্যর্থতার জন্য কেন্দ্রের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তফসিলি জনজাতিদের একাংশ। দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দিল্লির বাংলোর সামনে বিক্ষোভও হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

ইম্ফল শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০২৩ ২০:১৭
Share:

জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’-এর কর্মসূচি ঘিরে অশান্তির সূত্রপাত হয়। — ফাইল চিত্র।

আবার রক্ত ঝরল মণিপুরে। কাংপোকপি এবং ইম্ফল পশ্চিম জেলার সীমানায় খোকেন গ্রামে ১ মহিলা-সহ ৩ জনকে খুন করা হয়েছে। অভিযোগ, জঙ্গিরাই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে সেখানে। মেইতেই জনগোষ্ঠীর তরফে গত ২ সপ্তাহ ধরেই অভিযোগ তোলা হচ্ছে, মায়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে জঙ্গিরা হামলা চালাচ্ছে। যদিও জনজাতি সংগঠনগুলির যুক্তমঞ্চ ‘ইন্ডিজেনাস ট্রাইবাল লিডারস ফোরাম’-এর অভিযোগ, খোকেন গ্রামে হামলাকারীরা মেইতেই জনগোষ্ঠীর।

Advertisement

এরই মধ্যে মণিপুরে গোষ্ঠীহিংসার নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের সন্ধান পেতে শুক্রবার বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গড়েছে সিবিআই। ১০ সদস্যের সিট-এর নেতৃত্বে রয়েছেন ডিআইজি পদমর্যাদার এক আধিকারিক। সিবিআইয়ের তরফে শুক্রবারই ৬টি এফআইআরের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। মণিপুর পুলিশের সঙ্গে সমন্বয়ের জন্য সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টর ঘনশ্যাম উপাধ্যায় ইম্ফল যাচ্ছেন বলেও সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মণিপুর সফরে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সিবিআই তদন্তের ঘোষণা করেছিলেন।

গত ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে অশান্তির সূত্রপাত হয়েছিল উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওই রাজ্যে। মণিপুর হাই কোর্ট মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল। এর পরেই জনজাতি সংগঠনগুলি তার বিরোধিতায় পথে নামে। আর সেই ঘটনা থেকেই সংঘাতের সূচনা হয় সেখানে।

Advertisement

মণিপুরের আদি বাসিন্দা হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কুকি, জ়ো-সহ কয়েকটি তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের (যাদের অধিকাংশই খ্রিস্টান) সংঘর্ষ ঠেকাতে গত ৬ মে মণিপুরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। নামানো হয় সেনা এবং অসম রাইফেলস বাহিনীকে। সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকির ভার দেওয়া হয় সিআরপিএফের প্রাক্তন প্রধান কুলদীপ সিংহকে। তাঁর অধীনে এডিজিপি (ইন্টেলিজেন্স) আশুতোষ সিংহকে সমগ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার অপারেশনাল কমান্ডার-এর দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু ১ মাস কেটে গেলেও হিংসা থামেনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement