দুর্ঘটনাস্থলে কোনও দেহ পড়ে নেই বলেই রেলকে জানিয়েছিল জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ফাইল চিত্র।
দুর্ঘটনার ৭ দিন পরও দুর্গন্ধ রয়ে গিয়েছে ওড়িশার বাহানগা বাজারের দুর্ঘটনাস্থলে। দিন কয়েক হল এই লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে আবার। বুধবার করমণ্ডল এক্সপ্রেসও গিয়েছে এই এলাকা দিয়ে। দুর্ঘটনাস্থল দিয়ে যাওয়ার সময় কিছুটা গতি কমিয়ে নিচ্ছে ট্রেন। আর যাত্রীরা জানাচ্ছেন বাহানগা বাজার স্টেশন পেরোলেই নাকে চাপা দিতে হচ্ছে দুর্গন্ধে। এই দুর্গন্ধ দেহ পচার গন্ধ কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় শুক্রবার কারণ ব্যাখ্যা করেছে রেল।
গত ২ জুন সন্ধ্যায় ওড়িশার বালেশ্বর জেলার বাহানগা বাজার স্টেশনের কাছে করমণ্ডল এক্সপ্রেস বেলাইন হয়ে ধাক্কা দেয় দু’টি ট্রেনে। উল্টে যায় পর পর ট্রেনের কামরা। দুর্ঘটনায় মারা যান ২৮৮ জন। পাঁচ-ছ’দিন আগেও এলাকায় উপড়ে যাওয়া রেললাইনে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়েছিল যাত্রীদের মৃতদেহ। যা পরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কাছের একটি স্কুলবাড়িতে। অভিযোগ, গরমে দুর্ঘটনাস্থলে এবং ওই স্কুল বাড়িতে পচন ধরতে শুরু করেছিল দেহগুলিতে। রেল অবশ্য জানিয়েছে, সাত দিন পর যে দুর্গন্ধ বাহানগা বাজার দুর্ঘটনাস্থলে পাওয়া যাচ্ছে, তা সেই দেহ পচার গন্ধ নয়। বরং পচা ডিমের গন্ধ।
দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক আদিত্যকুমার চৌধরি বলেছেন, ‘‘ওই এলাকায় আর কোনও মৃতদেহ পড়ে নেই। আমরা দু’বার ওই এলাকায় উদ্ধারের কাজ করা জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে কথা বলে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছি। পরে যখন দুর্গন্ধের কথা জানিয়ে আবার আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে, তখন আবার তল্লাশি চালানো হয়েছে এলাকায়। তাতেই জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়িয়েছে পচে যাওয়া ডিম থেকে।’’
রেল জানিয়েছে, প্রায় তিন টন ডিম নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল যশবন্তপুর-হাওড়া এক্সপ্রেসের পার্সেল ভ্যানে। দুর্ঘটনার পর সেই ডিম দুর্ঘটনাস্থলেই পড়েছিল। সেই ডিম পচে এখন দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করেছে। আদিত্য অবশ্য জানিয়েছেন, ওই বিপুল পরিমাণে ডিম তিনটি ট্রাক্টর বোঝাই করে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দুর্ঘটনাস্থল থেকে।