এ বার মোদীর লক্ষ্য ‘ইপিআই সংস্কৃতি’

ভিআইপি নয়। এ বার ইপিআই।এটাই মোদীর মন কি বাত।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশে কাল, ১ মে থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ভিআইপি-দের গাড়ির মাথায় লাল বাতির ব্যবহার। প্রধানমন্ত্রী আগেই জানিয়েছেন এই ভিআইপি সংস্কৃতি বন্ধ হওয়া দরকার ছিল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ মে ২০১৭ ০৩:৫৩
Share:

ভিআইপি নয়। এ বার ইপিআই।

Advertisement

এটাই মোদীর মন কি বাত।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশে কাল, ১ মে থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ভিআইপি-দের গাড়ির মাথায় লাল বাতির ব্যবহার। প্রধানমন্ত্রী আগেই জানিয়েছেন এই ভিআইপি সংস্কৃতি বন্ধ হওয়া দরকার ছিল। আর রবিবারের মন কি বাত-এ ভিআইপি (ভেরি ইম্পর্ট্যান্ট পার্সন) সংস্কৃতির দাওয়াই হিসেবে তিনি তুলে ধরলেন ‘ইপিআই সংস্কৃতি’। অর্থাৎ ‘এভরি পার্সন ইজ ইম্পর্ট্যান্ট।’

Advertisement

প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘‘গাড়ির মাথায় লাল বাতির ব্যবহার ভিআইপি সংস্কৃতির প্রতীক হয়ে গিয়েছে। লাল বাতি লাগানো থাকে গাড়ির মাথায়। কিন্তু ধীরে ধীরে ত মানসিকতার অঙ্গ হয়ে গিয়েছে। এই মানসিকতাকে দূর করতে হবে।’’

কাজটা যে সহজ নয়, সেটাও মেনে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, লাল বাতি এখন বিদায় নিয়েছে। তা বলে এটা ভাবার কোনও কারণ নেই ভিআইপি সংস্কৃতিও বিদায় নিয়েছে। মোদীর কথায়, ‘‘লাল বাতি নিষিদ্ধ করা একটি সরকারি সিদ্ধান্ত। কিন্তু আমাদের মন থেকে ভাবনা দূর করার জন্যও চেষ্টা করতে হবে।’’ কিন্তু কী ভাবে করা যাবে এই চেষ্টা? প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমাদের সকলকে সচেতন ভাবে এক যোগে এটা করতে হবে।’’

আরও পড়ুন:‘দেহব্যবসা চালাচ্ছেন বিজেপির মহিলা বিধায়ক’ মন্তব্যে গ্রেফতার ডিএসপি

আর এরই সূত্র ধরে মোদীর মুখে শোনা যায় ‘ইপিআই’ কথাটি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘নতুন ভারতে আমাদের ভাবাদর্শ হলো ভিআইপি-র জায়গায় গুরুত্ব বাড়ুক ‘ইপিআই সংস্কৃতি’-র। ইপিআই, অর্থাৎ দেশের সব মানুষই গুরুত্বপূর্ণ। সব মানুষেরই মাহাত্ম্য রয়েছে। ১২৫ কোটি দেশবাসীর মাহাত্ম্য এবং গুরত্ব আমাদের স্বীকার করে নিতে হবে। তা হলেই মহৎ স্বপ্নপূরণের শক্তি সঞ্চয় সম্ভব হবে। আমাদের সকলকে একসঙ্গে এটা করতে হবে।’’

ভিআইপি সংস্কৃতি বন্ধ করার পাশাপাশি পড়ুয়াদের নতুন ভাবে চিন্তা করার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর মতে ছাত্রছাত্রীদের সব সময় ছবি আঁকা বা সাঁতারের মতো নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করা উচিত। নতুন প্রজন্মকে নতুন ভাষা শেখার জন্যও উৎসাহ দেন তিনি। যুবকদের প্রতি তাঁর বার্তা, ‘‘নিজেদের চেনা গণ্ডি ছেড়ে বেরিয়ে অচেনা জায়গায় যান। নিজেদের নতুন নতুন অভি়জ্ঞতায় সমৃদ্ধ করে তুলুন।’’

কিন্তু সব কিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে মোদীর ‘ইপিআই সংস্কৃতি’। ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’, ‘স্বচ্ছ ভারত’-এর পর এটাই এখন মোদীর লক্ষ্য।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement