আইএনএস কাড্ডালুর। এই জাহাজকেই ডুবিয়ে মিউজিয়াম তৈরি করা হবে। ছবি: সংগৃহীত।
সমুদ্রে ডুবে রয়েছে একটা জাহাজ। তার মধ্যেই ঘোরাফেরা করছে হাজারও সামুদ্রিক জীব। জাহাজের গায়ে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রয়েছে নাম না জানা কত রকমের সামুদ্রিক গাছ আর শ্যাওলা। পর্যটকদের জন্য এ রকমই অভিজ্ঞতার সুযোগ এনে দিচ্ছে পুদুচেরি।
সমুদ্রের জলে টুপ করে ডুব মেরে সামুদ্রিক জগত্টাকে হাতের নাগালে পেয়ে যাওয়ার মজাই আলাদা। পর্যটকদের সেই অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে পুদুচেরি সরকার। বানানো হচ্ছে দেশের প্রথম ‘আন্ডারওয়াটার’ মিউজিয়াম। আর এর জন্য কাজে লাগানো হবে ভারতীয় নৌসেনার জাহাজ আইএনএস কাড্ডালুরকে। পুদুচেরির সমুদ্রোপকূল থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রের জলে ডুবিয়ে দেওয়া হবে ওই জাহাজটিকে। আর এই জাহাজেই বানানো হবে মিউজিয়াম!
সূত্রের খবর, জাহাজটিকে ডুবিয়ে দেওয়ার পর অনেকদিন ফেলে রাখা হবে। তাতে ধীরে ধীরে শ্যাওলা ও প্রবাল জমবে। কিছু প্রোটিন ও পলিস্যাকারাইড ব্যবহার করে জাহাজের বাইরের অংশে গাছ রোপণ করা হবে। প্রাকৃতিক উপায়ে জাহাজের ভিতরে সামুদ্রিক জীবের বসবাসের পরিবেশ তৈরি হয়ে গেলেই পর্যটকদের সেই মিউজিয়াম দেখার সুযোগ করে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: গুগল ম্যাপ দেখে ড্রাইভিং, ৩০ ফুট খাদের জলে পড়ল গাড়ি
প্রকল্পটি তৈরি হচ্ছে পন্ডি ক্যান নামে এক এনজিও, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ওশেন টেকনোলজি (এনআইওটি), ন্যাশনাল সেন্টার ফর কোস্টাল রিসার্চ (এনসিসিআর) এবং পুদুচেরি সরকারের যৌথ উদ্যোগে। ন্যাশনাল কোস্টাল জোন ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পটিতে ছাড় দিলেই পাকাপাকি ভাবে মিউজিয়াম তৈরির কাজ শুরু হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: নামমাত্র দামে ভাল বাড়ি খুঁজছেন? চলে আসুন এখানে
এই প্রকল্পটির জন্য পুদুচেরির উপকূলীয় এলাকায় যৌথ গবেষণা চালায় এনআইওটি এবং এনসিসিআর। খারাপ আবহাওয়া, জলের স্রোত কেমন প্রভাব ফেলতে পারে তা নিয়ে গবেষণা চালিয়ে একটা রিপোর্টও তৈরি করেছে তারা। শুধু তাই নয়, মিউজিয়ামে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়েও পরীক্ষা চালানো হয়েছে। এখন শুধু সবুজ সঙ্কেতের অপেক্ষায়।